Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / চাঁদপুরে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর বাড়িতে চুরির অভিযোগ
চাঁদপুরে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর বাড়িতে চুরির অভিযোগ
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর বাড়িতে চুরির অভিযোগ

চাঁদপুর সদর উপজেলার ২নং আশিকাটি ইউনিয়নের ২৬ নং জুবলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাসরিন বেগমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও বিদেশি মালামাল চুরির অভিযোগ উঠেছে।

স্কুলের পাশে এক ছাত্রীর বাড়িতে রাত্রিযাপন করে সকালে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নেওয়ার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

চুরির মালামাল উদ্ধারের পর শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে স্কুলের অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকারকে নিয়ে সালিশি বৈঠক করা হয়। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অভিবাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেন।

অভিযোগসূত্রে জানা যায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান শিক্ষিকা নাজনীন বেগম তার ছেলেকে সাথে নিয়ে স্কুলের পাশে এক প্রবাসীর বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন। সকালে প্রবাসীর স্ত্রী বাসার বাইরে গেলে সুযোগ বুঝে প্রধান শিক্ষিকা নাজনীন বেগম আলমারি খুলে নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে তার ভ্যানিটি ব্যাগে লুকিয়ে ফেলে। এ সময় প্রবাসীর বড় মেয়ে ঘুম থেকে উঠে চুরির ঘটনাটি দেখতে পায়। ঘটনা ঘোলাটে দেখে প্রধান শিক্ষিকা নাজনীন বেগম তার ছেলেকে সাথে নিয়ে প্রবাসীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্কুলে চলে আসে।

প্রবাসীর স্ত্রী বাসায় আসলে তার মেয়ে চুরির ঘটনাটি জানালে আলমারি খুলে দেখে টাকা ও বিদেশ থেকে পাঠানো অন্যান্য মালামাল চুরি হয়েছে। এরপরই স্কুল কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের চুরির ঘটনাটি জানালে তারা স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ তল্লাশি করে চুরি হওয়া বিদেশি সাবান ও নগদ আড়াই হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনা জানাজানি হলে স্কুলের আশে পাশের লোকজন এসে ভিড় জমায় ও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে। উপায়ন্তর না দেখে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নাজনীন বেগম দ্রুত স্কুল ত্যাগ করে বাড়িতে চলে যায়।

শনিবার সকালে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা নাজনীন বেগম তাঁর স্বামীকে সাথে নিয়ে পুনরায় স্কুলে আসে। এ সময় এলাকার স্থানীয় লোকজনসহ স্কুল কমিটির সদস্যরা অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে নিয়ে সালিশি বৈঠক করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা নাজনীন বেগম জানায়, ‘আমার ভুল হয়েছে, এবারের জন্য ক্ষমা করে দেন। এ ধরনের ঘটনা আর কখনো ঘটবে না।’

প্রধান শিক্ষিকার স্বামী জানায়, কিছুদিন পূর্বে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। মাঝে মাঝে সমস্যা দেখা দেয়। এ ধরনের ঘটনা করেছে কিনা তা জানা নেই।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৪ এপ্রিল, ২০১৯