Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে জাতীয় শোক দিবসে জেলা প্রশাসনের ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ

চাঁদপুরে জাতীয় শোক দিবসে জেলা প্রশাসনের ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্ট । দেশব্যাপি যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দিবসটি পালনের উদ্দেশ্যে সরকারি পর্যায়ে চাঁদপুরেও ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মো.মাজেদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় ওই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়্।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৫ আগস্ট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলার সকল সরকারি,আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধ-নমিত রাখা হবে ।

সকাল ৯ টায় অঙ্গীকার স্মারক ভাস্কার্যের সামনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ,সকাল সাড়ে ৯টায় কালো ব্যাজধারণ করে র‌্যালি,সকাল ১০ টায় জেলা শিল্পকলায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা ও স্বেচাছায় রক্তদান ও গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি রয়েছে ।

বেলা ১০টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত জেলা সকর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কীর্তির ওপর আলোচনা, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও হামদ নাত প্রতিযোগিতা ও দোয়া অনুষ্ঠান ,বাদ জোহর বিশেষ দোয়া,শহরের গুরুত্বপূর্ণস্থানে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন ও দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার ইত্যাদি। এ ছাড়াও একটি উপদেষ্টা কমিটি সহ ৭ টি উপ-কমিটি গঠন করা হয় ।

সারাদেশব্যাপি জাতীয় কর্মসূচি

সারাদেশব্যাপি জাতীয় কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৫ আগস্ট সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসহ বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে।

১৭ জুলাই ২০১৯ এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, জাতীয় শোক দিবসের দিন সকাল ৬ টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন এবং সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অব অনার প্রদান করবে। এছাড়া ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

পরে ঢাকার বনানী কবরস্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার পরিবারের শাহাদত বরণকারী সদস্য ও অন্য শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ,ফাতেহা পাঠ এবং দোয়া করবেন। সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এছাড়া সেখানে ফাতেহা পাঠ, সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদান এবং মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি সমাধিস্থলে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়,তথ্য মন্ত্রণালয়,ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়,মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়,সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, অধিদফতর ও সংস্থা জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্ব স্ব কর্মসূচি পালন করবে।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সারাদেশে মসজিদসমূহে বাদ জোহর বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির,গির্জা,প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, পোস্টার মুদ্রণ ও বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গ্রোথ সেন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতীয় শোক দিবসের পোস্টার স্থাপিত হবে।

এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশু একাডেমি এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক বক্তৃতার আয়োজন করবে।

জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় কর্মসূচির সাথে সংগতি রেখে তারা কর্মসূচি পালন করবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সংগঠন টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিস্থলে এবং ঢাকায় ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ,দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা করবে।

দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য জাতীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্ব -স্ব কর্মসূচি পালন করবে।

তথ্য মন্ত্রণালয় তার আওতাধীন সংস্থা ও দফতরের মাধ্যমে জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখে আলোকচিত্র প্রদর্শনী,নিরীক্ষা,নবারুণ,সচিত্র বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ কোয়ার্টারলির বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ,স্মরণিকা ও বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ,আলোচনা সভা ও অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

গণযোগযোগ অধিদফতর প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে শব্দযন্ত্র সরবরাহ করবে।বাংলাদেশ টেলিভিশন বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ও‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থ দু’টির পাঠ আগস্টে মাসব্যাপি প্রচারের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত রয়েছে এবং কিউরেটর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন।

প্রতিবেদক : আবদুল গনি
১৪ আগস্ট ২০১৯