আন্দোলনের শিশু-কিশোর ও যুবকরা শিখে কীভাবে প্রতিকুল পরিবেশে দৃঢ়তা এবং স্কাউট বিশ্বব্যাপি একটি অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবামূরক প্রতিষ্ঠান। স্কাউট সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে শিক্ষার্থীদের স্কাউটিং অপরিহার্য
আন্দোলনের শিশু-কিশোর ও যুবকরা শিখে কীভাবে প্রতিকুল পরিবেশে দৃঢ়তা এবং স্কাউট বিশ্বব্যাপি একটি অরাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবামূরক প্রতিষ্ঠান। স্কাউট আন্দোলনকে ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানও বলা হয়। স্কাউট একটি আন্দোলন যার কাজ হলো কাজ হলো আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষা দান। ফলে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে স্কাউটিং অপরিহার্য ।
স্কাউটিং এর মধ্যে লুকিয়ে থাকে অপার আনন্দ যার স্বাদ নিতে হলে যোগদান করতে হবে এ আন্দোলনে। এর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষ নিজেকে নতুন করে খুঁজে পায়। শুধু কাজ ও আনন্দই নয় স্বীকৃতি অর্জনের এক অপূর্ব সুযোগ। স্বীকৃতি অর্জনের জন্যে একজন স্কাউটারকে কতগুলো দক্ষতা অর্জন করতে হয়। যা অন্যকে এ আন্দোলনের প্রতি উৎসাহিত করে।
রর্বাট স্টিফেন্সন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অফ গিলওয়েল ১৯০৭সালে এ আন্দোলন শুরু করেন। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই স্কাউট আন্দোলন রয়েছে। অবিভক্ত উপমহাদেশে ১৯১১ খ্রি. স্কাউট আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে।
বাংলাদেশে স্কাউট আন্দোলনের সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে। ১৯৭২ সালের ৮-৯ এপ্রিল সারা দেশের স্কাউট নেতৃবৃন্দ ঢাকায় এক সভায় মিলিত হয়ে গঠন করেন বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি। ঐ বছরের সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতির ১১১ নং অধ্যাদেশ বলে (১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭২,সোমবার) উক্ত সমিতি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে।
বিশ্ব স্কাউট সংস্থা ১৯৭৪ সালের ১ জুন বাংলাদেশ স্কাউট সমিতিকে ১০৫ তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে ১৯৭৮ সালের ১৮ জুন পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল সভায় সমিতির নাম বদল করে রাখা হয় বাংলাদেশ স্কাউটস।
এ কার্যক্রম প্রতিটি মানুষকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্যে নানা ধরণের চেষ্টা চলায়। এ আন্দোলনের মাধ্যমে একজন শিশু তার স্বাভাবিক মেধা বিকাশের সুযোগ পায়। স্কাউট আন্দোলন সমগ্র বিশ্বে ভ্রাতৃত্বের আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত। স্কাউট আন্দোলন শিশু-কিশোর ও যুবকদের সত্য ও ন্যায়ের অনুযায়ী উদ্যম, সুশৃঙ্খল ও সাহসী করে তোলে। এ আত্মবিশ্বাস নিয়ে টিকে থাকতে হয়। প্রতিকুল পরিবেশে টিকে থাকার লড়াই চারিত্রিক দৃঢ়তা তৈরি করে।
দেশ, জাতি, বর্ণ ও ভাষায় স্কাউটাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য বিবেচনা করা হয় না। তাদেও প্রশিক্ষণ পদ্ধতি, আইন, শপথ, মূলমন্ত্র, আচার-আচরণ সবকিছুর মধ্যে একটা ঐক্য বিরাজ করে। প্রতিটি স্কাউটকে নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হয়। তবে তারা অপরের ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধা রাখে। স্কাউটদের মধ্যে কোনো সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ থাকে না।
সেবামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করাই এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পরোপকারের মহান ব্রত নিয়ে এটি কাজ করে। মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করাই তাদের অন্যতম কাজ। স্কাউট আন্দোলন পরিচালনার জন্যে ৭টি আইন এবং একটি নির্দিষ্ট শপথ বাক্য আছে।
বাংলাদেশ স্কাউট কার্যক্রম শুরু করেছিল মাত্র ৫,৬৩২৫ জন সদস্য নিয়ে। তবে স্কাউটের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ১৫ লাখের কাছাকাছি। স্কাউটদের সংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্ব স্কাউটে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। বাংলাদেশ স্কাউট আগ্রাধিকার কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯ টি উচ্চ পর্যায়ে জাতীয় কমিটি গঠন করছে। যেগুলোর সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন বিশিষ্ট ও অভিজ্ঞ স্কাউটারগণ।
বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ হচ্ছে জাতীয় স্কাউট কাউন্সিল। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও চীফ স্কাউট এ কাউন্সিলের প্রধান। স্কাউট জাতীয় কাউন্সিলের সভা প্রতিবছর সদর দফতরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। দেশব্যাপি স্কাউট আন্দোলনের সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে পেশাগতভাবে প্রশিক্ষিত প্রায় ৫০ জন স্কাউট এক্সিকিউটিভ রয়েছেন।
বাংলাদেশ স্কাউটের যাবতীয় কার্যক্রম জাতীয় সদর দফতর, স্কাউট ভবন থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ স্কাউট আন্দোলন প্রধানত তিনটি শাখায় বিভক্ত। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬ থেকে ১০+বয়সী শিশুদের কাব স্কাউট, স্কুল ও মাদ্রাসায় ১১ থেকে ১৬+বয়সী বালক-বালিকাদের স্কাউট এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭-২৫ বয়সী যুবককে রোভার স্কাউট বলে।
তবে রেলওয়ে, নৌ এবং এয়ার অঞ্চলের চাকরিজীবিদের জন্যে ৩০ বছর পর্যন্ত বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে মুক্ত দল। উৎসাহী বয়স্করা স্কাউটের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে ইউনিট লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকমন্ডলি বাংলাদেশ স্কাউটের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট রয়েছেন।
আজকের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের যুগে স্কাউটিং আমাদের দেশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম। স্কাউটিং-এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিশু, কিশোরদের শারীরিক, মানসিক, নৈতিক,বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সামাজিক গুণাবলী উন্নয়নের মাধ্যমে তাদেরকে পরিবার, সমাজ, দেশ তথা বিশ্বের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।
সময়ের চাহিদা পূরণে স্কাউট আমাদের দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পাল করছে। আমাদের স্কাউট কার্যক্রমে কতগুলো বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয় । যেমন-হাতেকলমে কাজ শেখা,ছোট ছোট দল পদ্ধতিতে কাজ করা,ব্যাজ পদ্ধতির মাধ্যমে কাজের স্বীকৃতি প্রদান,মুক্তাঙ্গনে কাজ সম্পাদন, তিন আঙ্গুলে সালাম ও ডান হাত করমর্দন, স্কাউট পোশাক, স্কার্ফ ও ব্যাজ পরিধান এবং সর্বদা স্কাউট আইন ও প্রতিজ্ঞা মেনে চলা।
স্কাউটদেরকে আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েলের নির্দেশিত নিয়ম অনুসারে অনুশীলন, প্রতিজ্ঞা পাঠ ও দীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে স্কাউট আন্দোলনে সদস্য হতে হয়। স্কাউটদের মটো বা মূলমন্ত্র হচ্ছে : কাব-যথাসাধ্য চেষ্টা করা,স্কাউট-সদা প্রস্তুতএবং রোভার-সেবাদান।
স্কাউট কার্যক্রমে রয়েছে: সাপ্তাহিক ক্লাশ,ক্যাম্প ও হাইকিং,কমডেকা এবং বড় বড় সমাবেশযথা: ক্যাম্পুরি (কাবদের), জাম্বুরি(স্কাউটদের) ও মুট (রোভারদের) আয়োজন করা হয়ে থাকে জাতীয়, আঞ্চলিক, জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে (এগুলো আন্তর্জাতিকভাবে) বিশ্ব স্কাউট সংস্থাও করে থাকে।
এছাড়া বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বিভিন্ন গ্রুপ ও জেলা পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বৃক্ষরোপন,টিকাদান,স্যানিটেশন ও পরিবেশ সংরক্ষণ,জ্বালানি-সাশ্রয়ী চুলা , ট্রাফিক কার্যক্রম এবং বন্যাও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় স্কাউটদের সেবাদান কর্মসূচি বাংলাদেশের মানুষ সর্বদাই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। স্কাউটদের এ সকল কার্যক্রম এবং বিভিন্ন ট্রেনিং এর জন্য বিভিন্ন ব্যাজ প্রদানের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
স্কাউটদের তিনটি শাখার জন্য সর্বোচ্চ ব্যাজ হচ্ছে : শাপলা কাব, প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট এবং প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট। অ্যাডাল্ট লিডারদের স্কাউটিং এ অবদান রাখার জন্য তাঁদেরকেও বিভিন্ন অ্যাওয়র্ড প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ হচ্ছে রোপ্য ব্র্যাঘ এবং দ্বিতীয় হচ্ছে রৌপ্য ইলিশ।
বিশ্ব স্কাউট সংস্থাও বিভিন্ন দেশের অসাধারণ স্কাউটদের জন্য ব্রোঞ্জ উলফ ব্যাজ। স্কাউট কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা জন্যে বাংলাদেশ স্কউটসের রয়েছে প্রায় ৩০ টির মতো প্রকাশনা। বাংলাদেশ স্কাউটসের অগ্রদূত নামে একটি মাসিক পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। স্কাউট আন্দোলন জীবনকে সুন্দরভাবে গঠন করতে সহযোগিতা করে। আমাদের শিশু-কিশোর ও যুবক-যুবতীদেরকে আনুগত্য ও আত্মনির্ভশীলতা ও শিক্ষা দিয়ে যোগ্য করে গড়ে তোলে। তারা পরোপকারের অনুশীলন করবে এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে এগিয়ে আসবে।
স্কাউটদের শারীরিক,আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন স্কাউট আন্দোলনের উদেশ্য। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সামাজিক সম্পর্ক দেশের অভ্যন্তরে আঞ্চলিক সম্পর্ক স্থাপিত ও বিভিন্ন এলাকার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বিষয়ে বাস্তব ধারণা লাভ করে। বিভিন্ন উপদলের মাধ্যমে স্কাউট আন্দোলন কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং এর মধ্য দিয়ে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে।
স্কাউটের উদেশ্য ও কর্মসূচি ব্যপক থেকে ব্যপকর হচ্ছে। এর ফলে শিশু-কিশোরদের মধ্যে সেবামূলক মনোভাব গড়ে উঠছে। যে কোনো বিপদে বিচলিত না হয়ে ধীরে-সুস্থে এগিয়ে যাওয়ার শিক্ষা আমরা স্কাউট আন্দোলন থেকে লাভ করি। আমাদের দেশে বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন স্কাউট কার্যক্রম চালু আছে। একজন স্কাউট সকলের বন্ধু। তার দ্বারা কোনো ক্ষতি সাধিত হয় না। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কাউট কার্যক্রমকে আরো বেশি গতিশীল ও কার্যকর করতে হবে।
বাংলাদেশের স্কাউটরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমাবেশে অংশগ্রহণ করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেছে। কোমলমতি ছেলেমেয়েদেরকে সমাজসেবামূলক কাজে ব্যস্ত রাখার মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলীর বিকাশ ও দেশপ্রেম জাগ্রত করা যায়। একজন স্কাউট এগিয়ে যায় সকলের সাহায্যে । কোনো কিছু প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে ও মানবতার টানে। সকল মানবিক গুণাবলি কমবেশি দেখা যায় স্কাউটদের মধ্যে।
সকল নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা এবং সকলের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়ার মন-মানসিকতা তাদের মধ্যে থাকে। নানান শিক্ষার মদ্য দিয়ে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন স্তর বিশিষ্ট প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে তাদেরকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন সৎ, চরিত্রবান, কর্মদ্যোগী সেবাপরায়ণ,সর্বোপরি সুনাগরিক হিসেবে গেেড় তোলার লক্ষ্যে স্কাউট কাজ করে।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতি গঠনে স্কাউট আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিহার্য। মূলত: প্রচলিত প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার একটি সম্পূরক সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম হচ্ছে স্কাউটিং। স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে মাদক প্রতিরোধ, বাল্য বিবাহ রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধেসহ গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক আন্দোলনে ভূমিকা পালন করতে পারে।
এসো সবাই স্কাউটিং করি সৎ সাহসী ও আত্মনির্ভরশীল জীবন গড়ি। স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে জীবন ও জগৎ সম্পর্কে উপলব্দি ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। স্কাউটিং বিশ্বব্যাপি একটি অরাজনৈতিক সেবামূলক শিক্ষাবিষয়ক আন্দোলন। এ আন্দোলনকে সফল করতে হলে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ, সকলের সহযোগিতা ও সচেতনতার দরকার। আন্দোলন বিশ্বাস করে একজন স্কাউট চিন্তা, কথা ও কাজে নির্মল।স্কাউটের এ কথাকে সফল করতে পারলে আমাদের তরুণ ও যুবকদের মধ্যে দৃশ্যমান অনেক সংকটের সহজ সমাধান সম্ভব।
স্কাউট আন্দোলনকে আরো বেশি ছড়িয়ে দিতে হবে সকলের মাঝে। এ আন্দোলনের সাথে আরো বেশি ছেলে মেয়েদেরকে যুক্ত করতে হবে স্কাউটিং কার্যক্রমের। আমাদের দেশে যাঁরা স্কাউট আন্দোলনের ধারকÑবাহক তাদেরকে আরো বেশি কর্মনিপুণ, দক্ষ ও উদার হতে হবে। স্কাউটের যে সাতটি আইন তার পূর্ণ প্রয়োগ ঘটাতে হবে প্রত্যেক স্কাউটদের মধ্যে এবং লোক দেখানো স্কাউটিং পরিহার করতে হবে।
মনে রাখতে হবে স্কাউট সবসময় ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে।স্কাউট আত্মমর্যাদায় বিশ্বাসী,স্কাউট সকলের বন্ধু, স্কাউট বিনয়ী ও অনুগত,স্কাউট জীবের প্রতি সদয়,স্কাউট সদা প্রফুল্ল,স্কাউট মিতব্যয়ী এবং স্কাউট চিন্তা,কথা ও কাজে নির্মল। এ সাতটি আইন দ্বারা স্কাউট পরিচালিত হয়। প্রত্যক স্কাউটদের জীবনে সাতটি আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও চর্চা করা আবশ্যক। তা না হলে স্কাউটিং করা হবে শুধুমাত্র সময়ক্ষেপণ করা।
আমরা আশা করি, আমাদের স্কাউট দ্রুত উন্নতি ও সমৃদ্ধি লাভ করবে ব্যক্তি,সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পাল করবে।
লেখক পরিচিতি : সুধীর বরণ মাঝি,শিক্ষক,হাইমচর সরকারি মহাবিদ্যালয়,হাইমচর-চাঁদপুর-৩৬০০ ।
১৫ মে ২০১৯