Home / উপজেলা সংবাদ / ফরিদগঞ্জ / ফরিদগঞ্জে সম্মানি ভাতা গরীবদের বিলিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন শেলী
Selina akter

ফরিদগঞ্জে সম্মানি ভাতা গরীবদের বিলিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন শেলী

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি পাশ ছাএলীগের সাবেক নেত্রী সেলিনা আক্তার শেলী ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। নির্বাচনে সেলিনা আক্তার শেলী প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চেয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে রয়েছেন। তার সমর্থনে পৌরসভা ও ১৫ ইউনিয়নে ব্যানার সাঁটানো, মাইকিং, পোস্টারিং ও গণসংযোগ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে এককালের ছাত্রলীগের নেত্রী সেলিনা আক্তার শেলী উপজেলা পরিষদে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছাত্রনেতৃত্ব প্রদানকালে প্রতিবাদী কণ্ঠ ও সাহসিকতার জন্যে সর্বমহলে তিনি সু-পরিচিতি অর্জন করেন।

বিশেষ করে তার অতীত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সামনে থেকে নেতৃত্ব প্রদানের যোগ্যতা, সততা ও শিক্ষা এই তিনটি বিষয় উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের বিবেচনায় রয়েছে।

প্রার্থী হওয়া সর্ম্পকে সেলিনা আক্তার চাঁদপুর টাইমসকে জানান,‘ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে প্রাপ্ত সম্মানী ভাতা উন্নয়ন কাজ ও অসহায় জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেবো। নারী শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করবো। বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া নারীরা যেনো সু-শিক্ষায় শিক্ষিত, স্বর্নিভর হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে সে বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবো। সন্ত্রাস, মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ-সহ সামাজিক ব্যাধী দূর করে একটি সুখী-সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই আমার লক্ষ্য।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘উপজেলা পরিষদে প্রাপ্ত সরকারি বরাদ্দ সুষম বন্টন অনিয়ম,দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবো। এক কথায় উপজেলা পরিষদ থাকবে দুর্নীতি মুক্ত।’

ভোটারদের কাছে সহযোগীতা চেয়ে তিনি বলেন,‘আমি ফরিদগঞ্জবাসীর দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করছি। আমার বিশ্বাস ২৪ মার্চ অনুষ্ঠেয় ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটাররা যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আমার যোগ্যতা, সততা ও অতীত কর্মকান্ড মূল্যায়নের জন্য ভোটারদের প্রতি বিনিত অনুরোধ করছি।’

প্রসঙ্গত, ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজে ১৯৯২-১৯৯৬ সাল ও পরবর্তী ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তার স্বামী মো. ফয়সাল একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মরহুম আব্দুল গণির বড় মেয়ে।

প্রতিবেদক:আতাউর রহমান সোহাগ
১১ মার্চ,২০১৯