বিশেষ সংবাদ

‘এবারই আমি প্রথম ভোটার; জীবনের প্রথম ভোটটি নিজেকেই দেবো’

শেরপুর-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা তার জীবনের প্রথম ভোট নিজেকেই দেবেন বলে জানিয়েছেন।
সাড়ে ২৫ বছর বয়সী এই চিকিৎসক এবারের সংসদ নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর মেয়ে তিনি। ঋণ খেলাপের দায়ে হযরত আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেলে প্রিয়াঙ্কা মাঠে নামেন।

তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চারবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আতিউর রহমান আতিক।

সানিসিলা বলেন, তিনি ২০১১ সালে এইচএসসি পাস করার পর জেলা শহরের মধ্যশেরী মহল্লায় বাড়ির ঠিকানায় ভোটার হন।

“বিএনপি ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় ভোট দিতে যাইনি। এর আগে অন্যান্য জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সময় মেডিকেল পড়াশোনার চাপে শেরপুর আসতে পারিনি। এবারই আমি প্রথম ভোটার সে হিসেবে আমার জীবনের প্রথম ভোট দেবো; যেখানে আমি নিজেই প্রার্থী। তাই জীবনের প্রথম ভোটটি নিজেকেই দেব।”

বাড়ির কাছে সিংপাড়ায় দিশা প্রিপারেটরি অ্যান্ড হাইস্কুল তার ভোটকেন্দ্র। তবে নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি শংকায় রয়েছেন বলে জানান।

প্রিয়াংক বলেন, “আমি আমার নিজের ভোটটি দিতে পারব কিনা সে বিষয়ে শংকায় রয়েছি।”

গত ৩ নভেম্বর ডা. সানসিলা জেবরিন শেরপুর-১ আসনে প্রার্থিতা বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ সময় পর এ আসনে বিএনপি থেকে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। এটা অনেক আনন্দের ব্যাপার। এ ছাড়া এ আসনে ধানের শীষের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের একজন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন।

উনি শ্রদ্ধার একজন মানুষ, উনার কাছে শেখার অনেক কিছু আছে। নিজেকে অনেক লাকি মনে করছি, কারণ সর্বকনিষ্ঠ একজন প্রার্থী হিসেবে উনার বিপক্ষে প্রতিযোগিতা করব এবং আমি মনে করি রাজনীতিতে হার-জিত থাকবেই। যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তবে ১৪০টি কেন্দ্রেই ধানের শীষের জয় হবেই ইনশাআল্লাহ।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, তাহলে আমার প্রথম কাজ হবে, শেরপুরে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন ও শেরপুরকে একটি মডেল শহর হিসেবে গড়ে তোলা।

বার্তা কক্ষ
২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

Share