রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দেয়ার আগে শাহজাদপুরের বাঁশতলায় এক তরুণীকে চাপা দিয়ে আহত করে এসেছিল সেই ঘাতক সু-প্রভাত বাস।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছে বাসটির চালক সিরাজুল ইসলাম (২৪)। আহত সিনথিয়া সুলতানা নামে ওই তরুণী বর্তমানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক সু-প্রভাতের বাসটির চালক সিরাজুল ইসলাম জানায়, পথচারী ওই তরুণীকে চাপা দিয়ে সে পালিয়ে আসে। এরপর প্রগতি সরণি রোডে জেব্রা ক্রসিংয়ে আবরারকে চাপা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে এ দুর্ঘটনায় রাতে নিহত আবরারের বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহমেদ চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে বাসচালক ও তার সহকারী এবং মালিককে।
গুলশান থানার এসআই খোরশেদ আলম জানান, বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার নিহতের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে রাতে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় চালক, হেলপারসহ মালিককে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তের জন্য পরিদর্শক (অপারেশন) আমিনুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এদিকে আবরারের বাবার দায়েরকৃত মামলাতেও ওই তরুণীকে চাপা দেয়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় সু-প্রভাতের ওই বাসচালক বেপরোয়া, তাচ্ছিল্যপূর্ণ ও দ্রুতগতিতে বাস চালিয়ে পথচারীকে জখমসহ মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়।
অন্যদিকে গ্রেফতার বাসচালক সিরাজুল ইসলামের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গুলশান থানার ওসি (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম বুধবার বিকাল পৌনে ৩টার পর তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে চালকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) বাসের চাপায় বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার আহম্মেদ চৌধুরী নিহত হন।
পরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় বুধবারও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ভাগ হয়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
বার্তা কক্ষ
২০ মার্চ, ২০১৯