চাঁদপুর

চাঁদপুর চরাঞ্চলবাসীকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নৌ-অ্যাম্বুলেন্স আদৌ চালু হবে?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চরাঞ্চলের মানুষের দৌড়গোরায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে নৌ অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হয়েছে।

যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি’র প্রচেষ্টায় চাঁদপুরের চরাঞ্চলের মানুষের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত একটি অত্যাধুনিক নৌ অ্যাম্বুলেন্স আনা হয়েছে। অথচ এখনও পর্যন্ত এই নৌ- অ্যাম্বুলেন্সটির সেবা পাচ্ছে না জেলার নদীসিকিস্তি চরাঞ্চলের মানুষ।

ফলে সরকারের এই উদ্যোগ, প্রধানমন্ত্রীর উপহার এবং চাঁদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি’র সম্মিলিত প্রয়াস এখনো আলোর মুখ দেখছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৭অক্টোবর চাঁদপুরের জন্য বরাদ্দ হিসেবে নিয়ে আসা হয় এই নৌ-অ্যাম্বুলেন্সটি। এ বছর এই অ্যাম্বুলেন্সটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে না এসে চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার আওতায় এসেছে। শুধুমাত্র জনবল সংকটের কারণে এটি এখন চাঁদপুর শহরের মুখার্জী ঘাট এলাকার ডাকাতিয়া নদীর তীরে বেকার পড়ে রয়েছে।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাজেদা বেগম পলিনের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি ঢাকায় অবস্থান করার কারনে তার অফিস সহকারী জানান, ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর এটি আমাদের কাছে এসে পৌছেছে। জনবল না থাকার কারণে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের কাছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাদ্দ হিসেবে আদেশ প্রদান করেন। আদেশের কপিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে না পৌছার কারণে তা এখনো বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

যেদিন এটি চাঁদপুরে আনা হয়েছে তখন হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন গাড়ী চালককে ট্রেনিং দিয়ে ঢাকা থেকে চালিয়ে এটি চাঁদপুরে আনা হয়। পরবর্তীতে ওই চালক হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন গাড়ি আসায় চলে যান। চালক সংকটের কারণে আমরা এটি ব্যবহার করতে পারছি না।

চাঁদপুর সদর উপজেলার রজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী বলেন, কর্তৃপক্ষ যদি আমাদেরকে জ্বালানি বা লোকের বিষয়ে বলেন, আমরা তাদের ব্যয় ভার বহন করতে প্রস্তুত রয়েছি। এটি চালু না হওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষ সহজভাবে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এসময় তিনি বলেন, এটি চালু করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যদি আমাদের কাছে সহায়তা ও সহযোগিতা চায় আমরা তা করতে প্রস্তুত রয়েছি।

ইতোপূর্বে এমন একটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে আসা অ্যাম্বুলেন্সটি মুখার্জী ঘাট এলাকায় ডাকাতিয়ার তীরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন রাজরাজেশ্বর চরের এ জনপ্রতিনিধি।

এ সংক্রান্ত চাঁদপুর টাইমসের আরেকটি প্রতিবেদন দেখুন- ১০ বছরেও চালু হয়নি চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের নৌ অ্যাম্বুলেন্স

প্রতিবদক : আশিক বিন রহিম
১৮ জুন ২০১৯

Share