চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur
বহুদিন পর ধর্ষককে হাতেনাতে পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশে দিলো ধর্ষিতার ভিক্ষুক মা-বাবা। রোববার (১৯ মে) হাজীগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পরে মেয়েটির মা বাদী এ দিন রাতে হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন পুলিশ ধর্ষককে আটক দেখিয়ে সোমবার (২০ মে) দুপুরে আদালতে পাঠালে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
আটক যুবক ব্যাক্তি চাঁদপুর সদর উপজেলার দেবপুর জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার নাম মোঃ মোজাম্মেল হক। সে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের মুড়াগাও ভূঁইয়া বাড়ির মোহাম্মদ জাফর আলী মিয়ার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায় ধর্ষিতা মেয়ের বাবা দেবপুর এলাকার বাসিন্তা ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। সে অন্ধ হওয়ায় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে দিনের বেলায় হাজিগঞ্জ বাজারে সাহায্য তোলেন। প্রতিবন্ধী এই পরিবারের সরলতার সুযোগে ইমাম মোজাম্মেল হক মেয়েকে ইংরেজি পড়ানোর কথা বলে সম্পর্ক করে নেয়। পরে মেয়েটিকে ভালো ভাবে পড়াবে বলে গেলো বছরের ১৭ নভেম্বর হাজিগঞ্জ বাজারের মকিমাবাদ ৪ নং ওয়ার্ড হাজী ম্যানশনের একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নেয়। মাত্র একদিন মেয়েটিকে পড়ানোর কথা বলে বাসায় নিয়ে আসে। এই বাসায় আসার পর যা ঘটে তা মেয়েটি সব খুলে তার মা বাবাকে বলে।
এদিকে মান-সম্মানের ভয়ে ওই পরিবারটি কাউকে কিছু না বলে গোপনে পাঞ্জাবি-টুপি লেবাসধারী মোজাম্মেলকে খুঁজতে থাকে। পরে হাতেনাতে পেয়ে পুলিশে সোপর্দ
করে।
হাজিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন রনি বলেন, তার মোবাইলে ওই মেয়েটির আপত্তিকর ছবি পাওয়া গেছে। মেয়েটিকে ইংরেজি পড়ানোর নাম করে সরলতার সুযোগ নেয়। তার ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল। অন্ধ বাবা ও মা ভিক্ষা করতে এসে দেখে ধরে ফেলে।
তিনি আরো জানান, ওই যুবক একটি বাসা ভাড়া নিয়ে মাত্র ৫শ’ টাকা দিয়ে এক দিন ছিল ওই ফ্ল্যাটে। সোমবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠায়।
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ মে ২০১৯
