চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত সোমবার (২০ মে) রাতে বাদল মোল্লা (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে মতলব উত্তর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মেয়েটির বাড়ি ওই উপজেলার দক্ষিণ গাজীপুর গ্রামে। তার মা বেশ কয়েক বছর আগে বিদেশে চলে যাওয়ার পর তার পিতা আরেকটি বিয়ে করেন। এরপর থেকে মেয়েটি তার সৎ মায়ের সঙ্গে বসবাস করে আসছে।
তার নানার বাড়িও দক্ষিণ গাজীপুর গ্রামে। বাদল মোল্লার বাড়িও একই গ্রামে। বাদল আওলাদ হোসেন মোল্লার ছেলে। গত ২২ এপ্রিল রাত নয়টায় নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে আসার পথে গ্রামটির চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে পৌঁছালে বাদল মোল্লা ও তাঁর সহযোগী মুক্তার হোসেন মোল্লা (৩৩) যুবতীর পথরোধ করেন। পরে মুখে রুমাল চেপে যুবতীকে সেখানকার একটি নির্জন স্থানে নিয়ে বাদল ধর্ষণ করে এ ঘটনার ভিডিও করেন সহযোগী মুক্তার হোসেন মোল্লা।
বিষয়টি কারো কাছে প্রকাশ করলে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন বাদল ও মুক্তার। বাড়িতে এসে ওই যুবতী তাঁর সৎ মা ও বাবার কাছে ঘটনাটি জানালেও তাঁরা আমলে নেননি।
ঘটনার পর থেকে বাদল ও মুুক্তার নানাভাবে হুমকি দেওয়ায় বিষয়টি অনেক দিন ধরে চেপে যান ওই তরুণী। ৮-১০ দিন আগে মেয়েটি নিজ বাড়ি থেকে মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঢাকিরগাঁও গ্রামে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসেন।
পরে গত সোমবার দুপুরে মেয়েটির মতলব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আহসান হাবিবের কার্যালয়ে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করলে তিনি মতলব উত্তর থানাকে অভিযুক্তদের আটকের নির্দেশ দেন।
সোমবার রাত আটটায় ওই থানার পুলিশ বাদলকে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে বাদল ও মুক্তারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই থানায় মামলা হয়।
মতলব উত্তর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, বাদলকে চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হবে। মামলার অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এএসপি মো. আহসান হাবিব বলেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সোমবার রাতে মেয়েটিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মেয়েটি যাতে ন্যায় বিচার পায় সেজন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।