প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার জাতীয় মাছ ইলিশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বদ্ধপরিকর।’‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯’উপলক্ষে শুক্রবার দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
আগামীকাল শনিবার (১৬ মার্চ) থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত দেশব্যাপী ‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯ পালিত হতে যাচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ইলিশ সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘‘কোনো জাল ফেলবো না, জাটকা ইলিশ ধরবো না’’ এ প্রতিপাদ্য অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাটকা সংরক্ষণে সময়োপযোগী ও সমন্বিত উদ্যোগের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। এ সংক্রান্ত সব কার্যাদি বর্তমান সরকার কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতীয় মাছ ইলিশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বদ্ধপরিকর।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসুন, জাটকা সংরক্ষণের এ প্রয়াস শুধু সপ্তাহের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে নিষিদ্ধ সময়েও আহরণে বিরত থেকে ইলিশের উৎপাদন বাড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ। আমাদের কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে ইলিশ মাছের স্বাদ, গন্ধ আর রূপ। এ মাছের জন্য বিশ্বজুড়ে রয়েছে আমাদের আলাদা খ্যাতি ও পরিচিতি। জাতীয় মাছ ইলিশ আজ বাংলাদেশ ইলিশ নামে একটি ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য; যা আমাদের জন্য অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ।’
বাংলাদেশ এখন মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একক প্রজাতি হিসেবে ইলিশের অবদান সর্বোচ্চ। ২০০৮-০৯ সালে যেখানে ইলিশের মোট উৎপাদন ছিল ২ দশমিক ৯৯ লাখ টন। ২০১৭-১৮ সালে মোট উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ১৭ লাখ টনে। বর্তমানে এর বাজারমূল্য প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা এবং জাতীয় জিডিপিতে এই একক প্রজাতির অবদান প্রায় ১ শতাংশ।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইলিশের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে জাটকা আহরণ নিষিদ্ধসহ প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধকালে সরকার জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদানসহ বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে।’
‘জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০১৯’এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি।
বার্তা কক্ষ
১৫ মার্চ,২০১৯