চলন্ত লঞ্চ থেকে শিশু সন্তান নদীতে পড়ার পরেই তাকে বাঁচাতে ঝাঁপ দেন মা। এরপর দু’জনই নিখোঁজ। সোমবার বিকেলে চাঁদপুরের মতলব উত্তরের মেঘনার ষাটনল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের আলীরটেক কাউয়াদি গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে মা কহিনুর রহমান ইভার (৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ বিকেল ৪টার দিকে চর আব্দুল্লাহ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা নদীতে ভাসমান অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। তবে এখন পর্যন্ত ওই নারীর তিন মাসের সন্তান মোহাম্মদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।
জানান যায়, কহিনুর রহমান ইভা মুন্সিগঞ্জ শহরের শিলমন্দি এলাকার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। জিয়াউর রহমান একটি কোরিয়ান কোম্পানির প্রকৌশলী বলে জানা গেছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে থাকেন তিনি। এ ঘটনায় সোমবার মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
চর আব্দুল্লাহ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, সোমবার বিকেলে ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা এমভি হাসান ইমাম-২ লঞ্চযোগে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন কহিনুর রহমান ইভা। কিন্তু ভুলক্রমে তিনি চাঁদপুরের দিকে চলে যান।
লঞ্চটি চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার পৌঁছালে তার সন্তান মোহাম্মদ নদীতে পড়ে যায়। এ অবস্থায় সন্তানকে বাঁচাতে মা ইভা মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর মা ও সন্তান দুইজনই নিখোঁজ হন।
ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া আরো বলেন, আজ বিকেলে মেঘনা নদীতে ভাসমান অবস্থায় মা কহিনুর রহমান ইভার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে তার নিখোঁজ সন্তানের এখনো খোঁজ মেলেনি।
জানা গেছে, ৯৯৯ এই নাম্বারে জনৈক আক্তার হোসেন কল দিয়ে জানান, ষাটনল এলাকায় চলন্ত এমভি ইমাম হাসান-২ লঞ্চ থেকে একটি শিশু পড়ে যায়। তৎক্ষণাৎ শিশুর মা শিশুকে রক্ষা করতে নদীতে ঝাঁপ দেন। লঞ্চটি চলতে থাকায় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে যাত্রী আক্তার হোসেন ৯৯৯ নাম্বারে সাহায্যের জন্য কল করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুর থেকে ডুবুরি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল মতলব উত্তরের ষাটনলে ছুটে যায়। এ সময় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তারও যোগ দেন।
আরও পড়ুন… শিশুকে বাঁচাতে লঞ্চ থেকে মেঘনায় ঝাঁপ দিলেন মা : দু’জনই নিখোঁজ
বার্তা কক্ষ
২৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৯