Home / ফিচার / ভিডিও কলের যুগে চাঁদপুরে একজন চিকিৎসক নিয়ে মিস কলের গল্প
video call

ভিডিও কলের যুগে চাঁদপুরে একজন চিকিৎসক নিয়ে মিস কলের গল্প

চাঁদপুরে একজন চিকিৎসক নিয়ে সত্য অবলম্বনে মিস কলের একটি গল্প লিখেছেন সাংবাদিক রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ। তিনি গল্পটি ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করেছেন। বর্তমানে মোবাইল কলরেটের সাথে গল্পটি সামাঞ্জস্য রয়েছে মনে পোস্টটি চাঁদপুর টাইমস পাঠকদের জন্যে তুলে ধরা হলো।

তখন ফোন কলের রেট ছিলো, মোবাইল টু মোবাইল ১০ টাকা। চাঁদপুরের একজন চিকিৎসক। তিনি কনসালট্যান্ট ছিলেন। পরে আবার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন হয়েছিলেন। অবশ্য তিনি অকালীন অবসরেও যান।

তো একদিন তাঁর বাসায় গিয়েছি। তিনি প্রথমে মোবাইল কাউকে একটা মিস কল দিলেন। পরক্ষণেই তার মোবাইলে পর পর ২ টি মিস কল এলো। আমি বললাম আপনাকে কেউ হয়ত কল দিচ্ছে কিন্তু কল কেটে যাচ্ছে।

তিনি বললেন না, কল কেটে যায় নি। এটা হলো তিনি আমার মিস কল পেয়েছেন। আমিতো হতবাক! মিস কল পেয়েছেন মানে?

তিনি আমার ভুল ভাঙালেন। বললেন আমি সকালে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছি। এখন আমি আগে মিসকল দিলাম মানে তাকে বুঝানো হলো আমি এসে পৌঁছাছি। তিনিও আবার ২ টি মিস কল দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন হ্যাঁ তিনি খবর পেয়েছেন। ধন্যবাদ। এমনিভাবে দূপুরে খাবার খেয়েছি কিনা, বাসায় নাকি অফিসে, নাকি চেম্বারে এগুলো বুঝানোর জন্যও নানা রকম মিস কল রয়েছে।

এতটুকু পড়ার পর আপনার মনে হতেই পারে, লোকটি অত্যন্ত কৃপন। তাহলে বাকী অংশটুকুও পড়ুনঃ-

তিনি প্রতিবছর পরিবার নিয়ে একবার আমেরিকায় ঘুরতে যান। বর্তমানে অবশ্য তাঁর পরিবার আমেরিকায় স্যাটেল। অন্য সার্জন যখন কাজে হাত দেয়ার আগেই ৩০ হাজার টাকা চান। ঐ একই কাজ তিনি করেন ৫ হাজার টাকায়।

তাহলে মিস কলের এই কোডিং কেন?
তাঁর সরল উত্তর! বারবার পরিবারের সাথে কথা বললে কাজের গতি কমে যায়। মন পরিবারে নিবিষ্ট থাকলে রোগীর প্রতি মনযোগ কমে যায়। তাতে রোগীর ক্ষতি হতে পারে। আর প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে একবার কথা হয়। এতেই যথেষ্ট।

এই গল্প পড়ে কেউ যদি বর্তমান মোবাইল কল রেটের কথা চিন্তা করেন, এবং নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য মিস কলের কোডিং করে নেন। তাহলে এই লেখকের কোনো দায় নেই।

লেখক : মফস্বল সম্পাদক,
বার্তা সংস্থা ইউএনবি,