মালেয়শিয়ার কুয়ালামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চাঁদপুরের আল আমিন (২৫) ও সোহেলের (২৪) জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার(১৩ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চরভাগল গ্রামে আল আমিনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
অপরদিকে হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. সোহেলের জানাজা একইদিন বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তাদের দুজনের জানাজায় অংশ নিতে আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশি ছাড়াও আশপাশের গ্রামের মানুষজনও ছুটে আসেন।
নিহত আল আমিনের বাবা আমির হোসেন বলেন, আমি অত্যন্ত কষ্ট করে আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আজ আমার ছেলে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরলো। যেই টাকা ঋণ করে ছেলেকে পাঠিয়েছি তা পরিশোধ করার অবস্থা আমার নেই। আমি বাংলাদেশ সরকার ও মালয়েশিয়া সরকারের নিকট সহায়তা প্রদানের দাবি জানাই। পাশাপাশি আমার ছেলের মরহেদ ঠিকভাবে আমাদের নিকট পাঠানো ব্যবস্থা করায় আমি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সোহেলের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, মাত্র ৮ মাস আগে প্রায় পুরো টাকাই ধারদেনা করে ভাগ্যের লটারিতে জয়ী হতে ছেলেকে পাঠিয়েছি মালয়েশিয়ায়। কিন্তু মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে আজ লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল আমার ছেলে। অপরদিকে মা রোকেয়া বেগম ছেলের লাশ দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
এদিকে গত শুক্রবার মধ্যরাতে সোহেল ও আল আমিনের মরদেহ হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছায়। পরে তাদের পরিবারের লোকজন এম্বুল্যান্সে করে মরদেহগুলো বাড়ি নিয়ে আসেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ এপ্রিল মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের কাছের একটি সড়কে বাংলাদেশিসহ আরো কয়েকটি দেশের শ্রমিকরা কর্মস্থলে যাওার পথে বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়। ওই দুর্ঘটনায় ৫ বাংলাদেশিসহ ১১ জন নিহত হয়। ৫ বাংলাদেশীর মধ্যে দুই জনের বাড়িই চাঁদপুরে।
প্রতিবেদক:শরীফুল ইসলাম
১৩ এপ্রিল,২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur