নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায় বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার সোনাইমুড়ি বাজারে নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ি আংশিক) আসনের বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হন। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ইলিয়াস শরীফ এ খবর নিশ্চিত করেন।
পুলিশের গুলিতে আহত হওযার আগে সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে ওসির বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নোয়খালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী) আসনের বিএনপির এমপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এ সময় তিনি বলেন, ওসি সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিজ্ঞ বিচারপতিকেও মানে না। বিএনপির নেতাকর্মীরা হাইকোর্ট থেকে জামিন আনলে ওসি তাদেরকে গ্রেফতার করে। এ আসনে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ যুবলীগের কর্মীরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও গ্রেফতার করে না।
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আমার নির্বাচনী আসনে সার্বিকভাবে মনে হচ্ছে, এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মীরা ভোট চাচ্ছে না। তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের এলাকায় গণসংযোগ, প্রচারণা, পথসভা ও কেন্দ্রে না যেতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।
গত কয়েক দিন আগে জয়াগ বাজার ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার করতে গেলে ৪টি মাইক আওয়ামী লীগ যুবলীগের কর্মীরা মাইক, বাজারে বিএনপির সমর্থিত ১০-১২টি দোকান ভাঙচুর করে।
জয়াগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি সওকত আকবরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ি, চাটখিল উপজেলা বিএনপির সম্পাদক গোলাম মোস্তফার গাড়িও ভাঙচুর করে, ছাত্রদল নেতা মানিককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। ওসিকে মোবাইল করলে মামলাও নেয় না।
পরে বিকালে সোনাইমুড়িতে নির্বাচনী জনসভা থেকে ফেরার পথে ওসির গুলিতে তিনি আহত হন বলে জানিয়েছে বিএনপি। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা বিএনপি ও ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে বিএনপি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সোনাইমুড়ি থানার ওসি আবদুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে যুগান্তরকে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছি। (যুগান্তর)
বার্তা কক্ষ
১৫ ডিসেম্বর,২০১৮