হাজীগঞ্জ

ঢাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া শিশু হাজীগঞ্জে :পরিবারের কাছে ফিরে যেতে কান্না

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পাওয়া শিশু শিহাবা বাবা-মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য কান্না করছে। ঢাকা বাবা-মায়ের সাথে বসবাসকারী শিশুটি বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারে পাওয়া গেছে। শিহাব বর্তমানে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

ধারণা করা হচেছ অপহরণকারী চক্র তাকে নিয়ে আসছে। শিশুর পরনে থাকা পোষাকও তার কাছে পরিচিত নয়। ঢাকা বাসা থেকে চুল কাটার জন্যে সেলুনে যায়, এরপর তার জ্ঞান ফিরে দেখে সে হাজীগঞ্জের বাকিলায়।

শিহাবের দেয়া আরো সূত্রে জানা যায়, তার বাবা কাঠ মিস্ত্রির কাজ করে নাম মিজান মিস্ত্রি, মায়ের নাম তাসলিমা বেগম, দুই ভাই-২ বোনের মধ্যে বড় বোনের নাম আকলিমা আর বড় ভাইয়ের নাম ইউসুফ আরেক বোনের নাম নাছিম। সে নিজে ঢাকা স্টেডিয়ামের একটি মোবাইল ফোনের দোকানে কাজ করে।

শিশু শিহাব পুলিশ ও স্থানীয়দের জানান, সে রাজধানীর আরাববাগ ফকিরাপুল এলকার গরম পানি গলির হাজীর বিল্ডিংয়ের ৬ষ্ঠ তলায় বাবা-মায়ের সাথে বসবাস করে। তার মা তাকে চুল কাটার জন্য ৫০ টাকা দেয় আর সেই টাকা নিয়ে বাসার পাশের একটি স্যালুনের পাশে এসে বসে এর পরে আর কিছুই সে বলতে পারে না।

শিশুকে কুড়িয়ে পাওয়া জাহাঙ্গীর হাওলাদার চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যার কিছু আগে ছেলেটি আমার মিলের পাশে বসে ঝিমুচ্ছিল। এর পরে ছেলেটিকে তেতুলের আচার খাওয়ানো হয়। পরে জ্ঞান ফিরে এলে তার দেয়া ঠিকানা অনুযায়ী ওই রাতেই শাহরাস্তি উপজেলার উয়ারুক এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ছেলেটির দেয়া সেই ঠিকানায় রাতে শিশুটিকে নিয়ে ওয়ারুক যাওয়া হয় কিন্তু ঠিকানার কেউ তাকে চিনতে না পারায় রাতেই জাহাঙ্গীর তার বাড়িতে আশ্রয় দেয়।

ছেলেটি জানায় তার পরনে থাকা হলুদ টি-শার্ট আর পরনের কালো জিন্সের প্যান্ট রয়েছে। এগুলো তার নয় তবে এগুলো কে কিভাবে এগুলো পরিবর্তন করছে তাও সে বলতে পারছে না। পরের দিন শুক্রবার সকালে অন্যদের পরামর্শে স্থানীয় বাকিলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অমল ধরের কাছে নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে অমল ধর চাঁদপুর টাইমসকে জানান, জাহাঙ্গীরের কাছে ছেলেটি দেখে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে পরে পুলিশ এসে বাকিলা বাজার থেকে ছেলেটিকে হাজীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন রনি চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ছেলেটি যে ঠিকানার কথা বলছে সেই থানায় খবর দেয়া হয়েছে ঠিকানা মিলে গেলে ভালো না মিললে দেশের সকল থানায় ম্যাসেজ পাঠাতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের টিম কাজ করছে। বর্তমানে ছেলেটি আমাদের জিম্মায় রয়েছে।

প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়
৫ জুলাই ২০১৯

Share