আমার শহর চাঁদপুর তুমি,
পদ্মা,মেঘনা ও ডাকাতিয়ার বুকে জেগে ওঠা ভূমি।
পদ্মার বুকচিরে আমার ভালোবাসা,
ঘুরেফিরে তাই তার কাছে আসা।
পদ্মার ঘোলা জলে কতো ইলিশের খেলা-
এলোমেলো ঢেউয়ে বয়ে যায়
শুভ্র গাঙ্গচিল আর হাজারো পাখির মেলা।
মেঘনা এসে বুক পেতে দেয়,
মিলিত হয় ডাকাতিয়া- সাথে পদ্মা।
কি অপরুপ মহিমা!
অপরূপ সুন্দর তাদের মিলনমেলা।
প্রভাতের রবি রাঙায় যে সবি।
মোলহেডে দিন আসে-
হাঁজারো পাখির গাওয়া গানে
আর হীরকদীপ্ত জলের নাঁচে।
এ সময় নৌকায় পাল জাগে-
যাত্রী বোঝাই ব্যস্ত লঞ্চগুলো ছুটে চলে,
চিরচেনা গন্তব্যে।
ব্যস্ত শহর ছেড়ে,
মেঘনার বুকচিরে জেগে উঠা বালুচরে-
রাখি নগ্নপায়ের পদচিহ্ন।
তারি শীতল স্পর্শে কাঁপে হৃদয়,
জাগে অনুভূতি, আসে ভালোবাসা।
ছোট ছোট ঢেউগুলো যেন ভালোবাসা আনে-
কলকল ধ্বনির গাওয়া মৃদু গানে।
চোখ দুটি জুড়ে যায় প্রজাপতি ওরে যায়-
অপরুপ সৌন্দর্যের মিলন মেলায়।
সকাল-দুপুর গড়িয়ে আসে সন্ধ্যা
সূর্য আড়ালে লুকোয়।
গৌধূলী রং ছড়ায় আনন্দে মাতে হাজারো প্রাণ।
জেলের নৌকা ফিরে আসে,
ইলিশের গন্তব্যে।
ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ে
ঘাটে তোলাহয়, দাম হাঁকা হয়-
ইলেশের ছোয়ায় সবকিছু যেন সতেজময়।
ইলিশের রুপালি আঁশের হাসি,
চাঁদপুর তোমাকে ভালোবাসি।
তাই ঘুরেফিরে তোমার কোল ঘেষে জেগে উঠা,
বালুচরে আসি।
কাজী আদনান, চাঁদপুর