Home / চাঁদপুর / চাঁদপুর বিষ্ণুপুরে ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পে আবাসন পাবে ২৬ পরিবার
jomi-ase-ghor-nai

চাঁদপুর বিষ্ণুপুরে ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পে আবাসন পাবে ২৬ পরিবার

বর্তমান সরকারের জমি আছে ঘর নেই, এমন প্রকল্প চালু করেছে। সে প্রকল্পের অংশ হিসেবে চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পে গৃহনীদের ঘর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।

বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে ২টি করে ৯ ওয়ার্ডে সরকারি ভাবে মোট ১৮টি ঘর এবং ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন খান (শামীম) এর ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে ৮টিসহ মোট ২৬টি ঘর নির্মান করে সুবিধাভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের গৃহহীনদের সবকটি ঘর এরইমধ্যে হস্তান্তরের উপযোগী হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের তধারকিতে কাজ চলছে।

কাজের গুনগতমান ও নির্মাণ কাজ সুন্দর ভাবে নির্মান করায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, চাঁদপুরের উন্নয়নের রুপকার, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।

সুবিধাভোগীরা কাঠ, টিনসহ অন্যান্য মালামাল ভাল দেওয়ায় কাজের প্রতি ও তারা সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন।

বিষ্ণুপুরে ইউনিয়নের জমি আছে ঘর নেই সুবিধাভোগী লিটন গাজী ও জোহরা বেগমসহ একাধিক লোকের সাথে কথা বললে তারা জানান, বর্তমান সরকার ও চাঁদপুরের কৃতিসন্তান ডা. দীপু মনি এমপির কাছে আমরা চিরদিন ঋণ থাকবো।

তাদের দাবি প্রতিটি ঘরেই বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান সরকারের বরাদ্ধের বেশি টাকা খরচ করে সরকারি মাপের চেয়ে দ্বিগুন বড় করে তৈরি করে দিয়েছেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন বলেন, বাংলাদেশে এখনো অনেকের জমি আছে, কিন্তু তাদের ঘর নেই, তাদেরকে সনাক্ত করে পুনর্বাসনের জন্য বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে। বিষ্ণুপুর এরইমধ্যে অনেকগুলো ঘর অনেক সুন্দর করে চেয়ারম্যান নির্মাণ শেষ হয়েছে। নির্মাণকৃত ঘর গুলো সঠিক নিয়মের হচ্ছে। এখানে কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি। চেয়ারম্যান যে ভাবে আন্তরিকতার সাথে ঘর গুলো নির্মান করছে, তা সত্যি প্রশংসনীয়।

বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন খান (শামীম) বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক, চাঁদপুর হাইমচর-৩ নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের রুপকার ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির সহযোগীতায় এবং তার একান্ত আন্তরিকতায় বিষ্ণুপুরের গরীব অসহায়দের তালিকা করে তাদের ঘর দেওয়া হয়েছে। বিষ্ণুপুরে জমি আছে ঘর নাই, প্রকল্পটি সঠিক নিয়মে করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ত্রান কর্মকর্তা সব সময় কাজের মনিটরিং করছে।

তিনি বলেন সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ঘরের মাপ সাড়ে ১০ ফুট/ ১৬ফুট। সেই মাপে ঘর নির্মান করলে সেই ঘরে একটি পরিবার বসবাস করতে কষ্ট হবে। সেই কথা চিন্তা করে ২১ ফুট/ ৩২ফুট ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।