ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা চাঁদপুরসহ এর আশপাশের দ্বীপ এবং চরাঞ্চলগুলোতে ৬ নং বিপদ সংকেত নামিয়ে ৯ নং মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এতে করে ভয় আর উৎকণ্ঠার মধ্যদিয়ে শনিবারের দিন পার করছে চাঁদপুরবাসী। থেমে থেমে বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিতে ছিলো থমথমে ভাব। ঘূর্ণিঝড়ে কী হয়, এমন আতঙ্কে প্রকৃতির মতো সাধারণ মানুষের মাঝেও ছিলো থমথমে ভাব।
চাঁদপুরে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে মানুষের স্বাভাবিক যাত্রা কিছুটা বিঘ্নতার সৃষ্টি হয়েছে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে চাঁদপুর থেকে শনিবার সকাল থেকেই যাত্রীবাহী লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডাব্লিউটিএ চাঁদপুর।
পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গেলো শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় বিআইডাব্লিউটিএ চাঁদপুরের বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আগের সময় অনুযায়ী শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত সিডিউলে থাকা লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে চাঁদপুরঘাট ত্যাগ করবে। ১০টার পর থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ছাড়বে না।
এদিকে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য বিআইডিব্লউটি এ চাঁদপুর কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের বাসভবনে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, যেসব সরকারি কর্মকর্তা ছুটিতে আছেন তাদের অবিলম্বে স্ব স্ব কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ৫৮টি মেডিকেল টিম, স্থানীয় স্কাউট, রেডক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়াও নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তো আছেই। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং বলগেট, ড্রেজার ইত্যাদি ছোট নৌযানগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। জনসাধারণকে সতর্ক করতে বিভিন্ন চরাঞ্চলে মাইকিং করা হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
প্রতিবেদক : আশিক বিন রহিম, ৯ নভেম্বর ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur