আজ ১০ অক্টোবর জহুর বারুতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ শহীদুল ইসলামের সাথে চাইনিজ চেম্বারস অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার শুরুতে চাইনিজ চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মিঃ ল কোয়েক শিন স্বাগত জানিয়ে বলেন বাংলাদেশ একসময় পরাধীন ছিল ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে তারপর থেকে উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যুদ্ধের ক্ষতি কাটিয়ে এখন স্বয়ংসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার পথে। বাংলাদেশে এখন অনেক কাজ হচ্ছে এবং বৃহত্তর মার্কেট। সেখানে বিনিয়োগ করার অনেক সুযোগ আছে এবং ব্যবসায়ীরা আগ্রহী।
হাইকমিশনার বলেন, জাতির পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন। তেমনি তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছে। স্বাবলম্বী হবার পথ বিশ্বকে দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে এখন বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময় বাংলাদেশ।
বর্তমানে ৮.১৩% প্রবৃদ্ধি অর্জন করে এশিয়ার একমাত্র দ্রুত অর্থনীতির দেশ, নিজ সামর্থে ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তিতে সাফল্য এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বিশ্বে এখন অনুকরণীয়। আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে এবং মাথাপিছু আয় ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উচ্চ আয়ের উন্নত বাংলাদেশে পরিণত করার কাজ চলছে। ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে সরকার বেশ কিছু সাফল্য দেখিয়েছে যেমন সন্ত্রাস দমন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন, বিদেশী বিনিয়োগে শতভাগ সুরক্ষা প্রদান, নিয়মিত ইকনমিক জোনের পাশাপাশি একশটি স্পেশ্যাল ইকনমিক জোন এ বিনিয়োগের সুযোগ ফলে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ঔষধ, সিরামিক, পোশাক, চাল, মাছ, ফুল এবং সবজি বিশ্বে রপ্তানি হচ্ছে।
উৎপাদকরা বাংলাদেশ থেকে বিশ্বে ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি পণ্য রপ্তানি করতে পারে। সর্বোপরি রয়েছে কর্মঠ নাগরিক এবং তুলনামূলক কম শ্রমমূল্যের দক্ষ কর্মী । এসব বিবেচনায় নিয়ে চাইনিজ চেম্বারের সদস্যদের বাংলাদেশে বিনিয়োগএর জন্য আহ্বান জানান। আরো সম্ভাবনার অথা জানতে শোকেস বাংলাদেশ করার জন্য চেম্বারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে চাইনিজ চেম্বার সহযোগিতার প্রস্তাব দেন।
উভয় পক্ষের আলোচনায় নভেম্বর মাসের শেষে জহুর বারুতে শোকেস বাংলাদেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মিঃ শিন বলেন বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নিতে চাই এজন্য শোকেস বাংলাদেশ এর পাশাপাশি বাংলাদেশ সফর করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। হাইকমিশনার জহুর চাইনিজ চেম্বার কে ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য দুই দিনব্যাপী সেমিনারে বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, এক্সপার্ট তথা বিশেষজ্ঞ এবং বিজনেস নেতারা অংশ নিবে।
সেখানে আলোচনা, শো, বিজনেস টু বিজনেস মিটিং এবং পণ্যের প্রদর্শনী করা হবে। বাংলাদেশ হাইকমিশন ও চাইনিজ চেম্বার মিলে কাজ করার ঘোষণা করেন। চাইনিজ চেম্বারের ডেপুটি চেয়ারম্যান মিঃ হেং এম এস, ডেপুটি চেয়ারম্যান মিঃ ইউজিনি সাউ ইয়ে সিন, সেক্রেটারি জেনারেল মিঃ গোহ লাই চাই এবং অন্যান্য সদস্যরা আলোচনায় অংশ নেন। সভায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর( লেবার ২) মোঃ হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মোঃ রাজিবুল আহসান, প্রথম সচিব (পলিটিক্যাল) রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।
বশির আহমেদ ফারুক, মালয়েশিয়ার করেসপন্ডেন্ট
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur