চাঁদপুরী প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি বৃদ্ধি করি ;প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি নিশ্চিত করি” এই প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে অ্যাডভোকেসি সভা ও প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় চাঁদপুর পরিবার পরিকল্পনার উপ পরিচালক ডাঃমোঃ ইলিয়াসের সভাপতিত্বে ও মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র মেডিকেল অফিসার ডাঃ তন্ময় বড়ুয়ার পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদ্য পদোন্নতি পাওয়া পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক মির্জা জাকির, চাঁদপুর আত্ম নিবেদিতা মহিলা সংস্থার প্রজেক্ট ডাইরেক্টর ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
এসময় বক্তারা বলেন, সারাদেশে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচী জোরদার করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে সমন্বিত ভাবে পরিবার পরিকল্পনা মা ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচী বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলছে। সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে জনবল শূন্যতা পূরণের জন্য ৫ হাজার ৫ শত ৯৭টি পদে নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২ লাখ মহিলা ও পুরুষকে পরিবার পরিকল্পনা স্থায়ী পদ্ধতি এবং ৭ লক্ষ মহিলাকে দীর্ঘমেয়াদী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সেবা প্রদান করা হবে।
দেশের দুর্গম ও কম ও গতিসম্পন্ন এলাকায় পরিবার পরিকল্পনা মা ও শিশু স্বাস্থ্য কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে আরো ৮ শত জন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নবনির্মিত ৮৯ টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চালুর মাধ্যমে জরুরী প্রসূতি সেবা প্রদান করা হচ্ছে আরো ৯৬ টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এ বছরের মধ্যে চালু করা হবে। ২ হাজার ৮শত টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪/৭ ঘণ্টা নরমাল ডেলিভারি সেবা চালু করা হয়েছে এ বছরের মধ্যে সকল কেন্দ্রে নরমাল ডেলিভারি সেবা চালু করা হবে।
বক্তারা আরো বলেন, চাঁদপুরে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে গত দশ বছরে জনবল নিয়োগ করেছে ৪শত ৪৭ জন। অবকাঠামোগত উন্নয়নের চাঁদপুরে ৪৯ টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র মেরামত করা হয়েছে। ১৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ,একটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র মেরামত ও ৩টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র নতুন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
এছাড়া ২ টি ষ্টোর কাম অফিস ভবন নতুন নির্মাণ এবং ২ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। জেলায় চারতলা বিশিষ্ট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে ও ৪টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র নতুন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ খাতে বাজেট ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ২০ হাজার ১৪ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৩ শত ৮৩ কোটি টাকা হয়েছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০০৯ সালের ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে বর্তমানে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ হয়েছে।
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক
২২ নভেম্বর, ২০১৮