হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জে কর্মসৃজন শ্রমিকের মুজুরি পরিশোধে হিমশিম ইউপি সদস্য

হাজীগঞ্জে প্রতিবছর ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের দু’ভাগে ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ আসে। প্রথম ধাপের কাজ ইতিমধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলার প্রায় সব কয়টি ইউনিয়নে শেষ হয়েছে বলে জানা যায়।

২য় ধাপে উপজেলার বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য আব্দুল হাই পাটওয়ারী পেয়েছেন ৩ লাখ টাকার মাটি কাটার কাজ। তার ওয়ার্ডের কাইজাঙ্গা পশ্চিম পাড়া নূরানী মাদ্রাসা থেকে দ্বীনিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত আধা-কিলোমিটার রাস্তার কাজ ইতিমধ্যে শেষ করেছেন। কিন্তু বিল না পাওয়ায় শ্রমিকদের টাকা দিতে গিয়ে এখন চরম হিমশিমের মধ্যে রয়েছেন এ জনপ্রতিনিধি।

একাধিক শ্রমিক বলেন,‘ধান কাটার সময় আমরা মাটি কেটেছি কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের মেম্বার নাকি এখনও কোনো বিল পায়নি। তাই আমরা পুরো টাকা দিতে পাই নি।’

রাস্তার পথচারী বাচ্চু পাটওয়ারী, রুস্তম মাস্টার ও নুরু মিয়া বলেন, ‘বিগত সময়ে এক সাথে এ রাস্তায় এতো মাটি কাটার কাজ হয় নি।এ রাস্তা দিয়ে এখন ফরিদগঞ্জ উপজেলার কয়েক গ্রামের লোকজন হাজীগঞ্জ উপজেলায় চলাফেরা করতে পারছে।

ইউপি সদস্য আ.হাই বলেন,‘রাস্তার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়। তবে বিল প্রস্তুত না হওয়ায় শ্রমিকদের পুরো টাকা দিতে পারি নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস শ্রমিকদের দিকে তাকিয়ে তাদের পারিশ্রমিকের বিল প্রস্তুত করলে চির কৃতজ্ঞ থাকবো।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন,‘আ. হাই মেম্বারের কাজের মান ভাল হয়েছে। তবে ইউনিয়নের সচিব এখন পর্যন্ত বিলের প্রক্রিয়া জমা দেয়নি। হাতে পেলেই শ্রমিকদের বিল প্রস্তুতে কোনো দেরি হবে না।

প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়
১৪ মে ২০১৯

Share