চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় সোহেল রানা (১৭) নামের কাঠমিস্ত্রি যুবকের মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৯ আগস্ট) উপজেলার নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের পিয়ারীখোলা গ্রাম থেকে উদ্ধা করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় সোহেল ওই গ্রামের জমির হোসেনের ছেলে । ঢাকায় একটি আসবাবপত্রের দোকানে কাঠমিস্ত্রির কাজ করতো। এর আগে সে এলাকায় অটোরিকশা চালাত। গত ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসে। বাড়িতে আসার পর তার মামা আবুল কালাম তাকে একটি দামি স্মার্টফোন কিনে দেয়।
রোববার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যার পর মুঠোফোনটি নিয়ে সে তার প্রতিবেশী মো. জিসানের বাড়িতে যায়। ওই বাড়িতে জিসানের ছেলে মো. জিহাদের সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠান উপলক্ষে গানের আসর বসে। সোহেল ওই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রোববার রাতে আর বাড়ি ফেরেনি।
সোমবার সকালে তার বাবা জমির হোসেন প্রধান ও মামা আবুল কালাম সোহেলের খোঁজে বের হন। প্রতিবেশী জিসানের বাড়িতে গিয়ে তার খোঁজ করা হলেও এ ব্যাপারে তাঁদের কোনো তথ্য দিতে পারেনি কেউ। খুঁজতে খুঁজতে তাঁরা ওই গ্রামে আবুল কালামের তৈরি একটি বাড়িতে যান। সেখানে একটি দো’চালা ঘর, কিছু গাছপালা ও একটি পুকুর রয়েছে। কোনো লোকজন থাকেন না সেখানে।
দুপুর সাড়ে ১২টায় ওই বাড়ির পুকুরের আইলের পাশে সোহেলের মস্তকবিচ্ছিন্ন লাশ দেখতে পান তারা। বিষয়টি থানায় জানানো হলে আজ দুপুর একটায় থানার পুলিশ সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
সোহেলের বাবা জমির হোসেন প্রধান বলেন, কারো সঙ্গে সোহেলের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নেই। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও এলাকার কারো বিরোধ বা দ্বন্দ্ব নেই। ঠিক কী কারণে তাঁর ছেলেকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করা হলো তা তিনি বলতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করবেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি স্বপন কুমার আইচ বলেন, এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত ব্যক্তির লাশ আজ বিকেলে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এ হত্যাকান্ডটি ঘটে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
তবে মুঠোফোনের সেট ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই সোহেলকে খুন করা হতে পারে বলে তার পরিবার ধারণা করছে বলে যুক্ত করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
প্রতিবেদক : মাহফুজ মল্লিক, ১৯ আগস্ট ২০১৯