Home / সারাদেশ / চাঁদপুরসহ সারাদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, পানিবন্দী মানুষ
fani fact

চাঁদপুরসহ সারাদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, পানিবন্দী মানুষ

ভারতের উড়িষ্যার পর শনিবার (৪ মে) ভোর ৬টার দিকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এরপর উত্তর-উত্তর দক্ষিণ হয়ে সারাদেশে আঘাত হানে।

আজ রবিবার (৫ মে) দেশের কোথাও কোথাও বাতাসের সাথে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, রাজশাহী, ফরিদপুর, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালীসহ অনেক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে চট্টগ্রামে বাঁধ ভেঙে বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও মতলব উত্তরে ব্যাপক আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। শনিবার আনুমানিক ভোর সাড়ে ৩টার পর থেকে চাঁদপুরের আঘাত হাতে ঘূর্ণিঝর ফেণী। এতে জেলার এই তিন উপজেলার নদী তীরবর্তী চরাচঞ্চে ব্যাপক ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি প্রায় দুই শতাধিক বসত ঘর ভেঙে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।

শুধু তাই নয়, ফণী’ ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ গাছপালা, ফসলি জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানমহ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন ছিন্নমূলদের বহু বসত ঘর। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো হাতহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশের উপরে ফণীর তাণ্ডব ছিল ৮ ঘণ্টার মত। এই সময়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, সেই সাথে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

শনিবার বিকেল ৩টা নাগাদ শক্তিশালী ফণী দূর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে রুপ নেয়। এতে করে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফণীর প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় সব নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জোয়ার উঠেছে। এতে চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দাকোপের বাণীশান্তা বাজারের উত্তর পাশে বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া দাকোপের কালাবগী ঝুলন্ত পাড়া এলাকায় বাঁধ ভেঙে গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে।

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে মেন্দিয়াবাদ ও রামপুর গ্রামের পায়রা নদীর বাঁধ ভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শনিবার সকালে পায়রা নদীতে ৪ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৪১/৭ নম্বর পোল্ডারের মেন্দিয়াবাদ গ্রামের বাঁধ ভেঙে পাঁচটি ও আয়লা কানকী রামপুর বেড়িবাঁধ ভেঙে পাঁচটি গ্রামের রবি ফসলি মাঠ ও বসত ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে।

এতে রানীপুর গ্রামের অর্ধশত বসত ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় পরিবারগুলো পানিবন্দী হয়ে পড়ে। পানিতে প্লাবিত হওয়ায় এসব পরিবার চুলায় আগুন জ্বালাতে পারেনি। তবে পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা চেয়য়ারম্যানের উদ্যোগে খাদ্যে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

পটুয়াখালী, বরগুনাতে বাধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে অনেক গ্রাম। আর সারাদেশে বজ্রপাত ও ঝড়ের তাণ্ডবে ঘর চাপা পড়ে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছে অন্তত ১৬ জন।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং সারাদেশে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হয়। এরপর এটি আবার ভারতে মেঘালয়ে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে অবস্থানের সময় এটির গতিবেগ ছিল ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। (বিডি২৪লাইভ)

বার্তা কক্ষ
৫ মে ২০১৯