Home / সারাদেশ / বিয়েতে অংশ না নেয়ায় পরিণতি! মামলা করেও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দম্পতি!
dummprti-pic

বিয়েতে অংশ না নেয়ায় পরিণতি! মামলা করেও পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দম্পতি!

প্রতিবেশীর ‘বিয়েতে অংশ না নেয়ায়’ হামলার স্বীকার হয়ে আদালতে মামলা করেও আইনী সহায়তার অভাবে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে এক দম্পতি।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আশা বয়স্ক এ দম্পতির সাথে কথা বলে বেরিয়ে আসে এ খবর।

ঘটনার বর্ণনা জানতে গিয়ে এ দম্পতি প্রাথমিক পরিচয়ে জানা যায়, ), লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের বাসীন্ধা আবদুল জলিল (৫৫ ও তার স্ত্রী কুলছুমা বেগম (৪৬)।
এ সময় এ দম্পতি বলেন, চলতি মাসের ১০ তারিখে রামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বিঘা সুফিয়ালী বাড়ীর নিজ বসতঘরে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে হামলা চালায় একই বাড়ির দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীরা।

হামলার কারণ জানতে গিয়ে এ বয়স্ক দম্পতি বলেন, গত কয়েক মাস পূর্বে তাদের ছেলেকে বিয়ে করানোর সময় প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেনদের দাওয়াত দেন। এর কিছু দিন পর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দেলোয়ার হোসেনের ছেলের বিয়েতে এ দম্পতিকে দাওয়াত দেয়। প্রতিবেশির পারস্পারিক এ সম্পর্ক আর স্বাভাবিক কার্যক্রমে কোনো সমস্যা হয়নি।

বাধ বিধে তাদের দাওয়াতে এ দম্পতি অংশগ্রহণ না করা। এ নিয়ে দেলোয়ার হোসেন ক্ষুব্দ হয়ে গত ১৭ অক্টোবর তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় এ দম্পতির ঘরের দরজা, জানালা ভেঙ্গে বসতঘরের মালামাল লুট করে। হামলায় গুরুতর যখম অবস্থায় রামগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানেও তাদের লোকজনের আনাগনার ভয়ে আমরা হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসে।

ঘটনার পর পরই গত ১৭ অক্টোবর কুলছুমা বেগম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট রামগঞ্জ আমলী আদালত লক্ষীপুরে ৪৪৭/৩৮০,৫০৬সহ বিভিন্ন ধারায় দেলোয়ার হোসেন, তার ছেলে মহিন, মেয়ে রৌশন, কামাল হোসেনসহ ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলার খবর শুনে প্রতিপক্ষরা এদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলার আশংকায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এসে চিকিৎসা নিচ্ছে ও এক প্রকার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এ বিষয়ে ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গ্রাম্য শালিস জাকির হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি মূলত একই বাড়ির পারিবারিক ঘটনা। আমরা শুনেছি তবে আবদুল জলিলের পরিবার আমাদের কাছে আসলে অবশ্যই আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।’

রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তোতা মিয়া বলেন, ‘তাদের মারামারি কি নিয়ে হয়েছে তা আমরা বলতে পারবো না, তবে অভিযোগ আকারে আসলে অবশ্যই আইনগত ভাবে পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মামলার ভয়ে পলাতক থাকায় তবে একাধিকবার চেষ্টা করেও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়
২৩ অক্টোবর, ২০১৮

Leave a Reply