চাঁদপুর

চাঁদপুরে দু’ধাপের প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন

চাঁদপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা দু’ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ পরিবর্তন হয়েছে । এতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৯১ জন এবং চাঁদপুর সদরের ২৭টি সরকারি-বেসরকারি স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসায় এ পরীক্ষার কেন্দ্র থাকবে।

রোববার (১২ মে) বিষয়টি চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বিষয়টি চাঁদপুর টাইমসকে জানিয়েছেন।

তাদের দেয়া তথ্যমতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের প্রথম ধাপে আগামি শুক্রবার (২৪ মে) অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ হাজার ৪শ’৬২ জন।

দ্বিতীয় ধাফে পরের শুক্রবার (৩১ মে) অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৬ শ’২৯ জন। দ্বিতীয় ধাপে পরের শুক্রবার (৩১ মে) অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার্থীর পরীক্ষার্থী বেশি হওয়ায় ২৮ কেন্দ্রে হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ তারিখ পুননির্ধারণ করেছে ।

প্রবেশপত্রের জন্যে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, স্ব স্ব বৈধ প্রার্থীর বেলায় মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে কোড নম্বর এলেই প্রার্থী নিজ দায়িত্বে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে।

জেলার সকল উপজেলার প্রার্থীদের লিখিত এ পরীক্ষা চাঁদপুর সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকেই কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

কলেজের কেন্দ্রগুলো হলো : চাঁদপুর সরকারি কলেজ,মহিলা কলেজ,পুরাণ বাজার ডিগ্রী কলেজ,বাবুর হাট কলেজ ও খেরুদিয়া দেলোয়ার হোসেন হাই স্কুল এন্ড কলেজ ।

স্কুল কেন্দ্র গুলো হলো:হাসান আলী বালক, মাতৃপীঠ বালিকা, বাবুর হাট হাই স্কুল,চাঁদপুর টেকনিক্যাল,গণি আদর্শ,আক্কাছ আলী রেলওয়ে, লেডি প্রতিমা,লেডি দেহলভি বালিকা,ডি.এন হাই, জিলানী চিশতি হাই,আল-আমিন (ছাত্র শাখা),আল-আমিন (ছাত্রী শাখা),ষোলঘর আদর্শ,বাগাদী গণি,পীর মহসীন উদ্দীন,এমএম নূরুল হক,মহামায়া হানাফিয়া,পুরাণবাজার বালিকা, মধুসুদন ও শহিদ জাবেদ উচ্চ বিদ্যালয়।

মাদ্রাসা কেন্দ্রগুলো হলো: আহমিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা,বিষ্ণুদি ইসলামিয়া ও বাগাদী আহমাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.সাহাবুদ্দিন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, পরীক্ষা গ্রহণের নীতিমালা দু’এক দিনের মধ্যেই পেয়ে যাব। তবে প্রাথমিকভাবে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।’

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,‘চাঁদপুরের পরীক্ষা হবে দু’ধাপে। পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০ টায় এবং শেষ হবে ১১ টা ২০ মি.। স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগণ হবেন ‘কেন্দ্র প্রধান’। ২০ জন প্রার্থীর জন্যে একজন করে পর্যবেক্ষক থাকবে। সংশ্লিষ্ঠ কেন্দ্র প্রধানগণ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োগ করবেন। প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণকে পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব পালনে নিয়োগ করতে পারবেন।’

এ জেলায় ২ শ’৪০ টি পদ আপাতত :শূন্য রয়েছে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যন্ত চাঁদপুরের শূন্য পদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।

এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে জানা গেছে ,এ নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে হবে। স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নিয়োগ পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। যদি কেউ কোনো ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে লিপ্ত হয় তাহলে পরীক্ষা কেন্দ্রে তাকে বহিষ্কার করে ঔ প্রার্থীর উত্তরপত্র বাতিল করা হবে।’

পরীক্ষা পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করতে বুয়েটের সহায়তায় একটি আধুনিক সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস, পরিদর্শক নির্বাচনসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে,২০১৮ সালের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘সহকারী শিক্ষক’ নিয়োগের ক্ষেত্রে রেকর্ড সংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেছেন। ২০১৮ সালের ১ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। এ সময়ের মধ্যে ২৪ লাখেরও বেশি আবেদন জমা হয়েছে।

এমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন,ফলাফল প্রকাশ কার্যক্রম কোন পদ্ধতিতে করা হবে তা’বুয়েট নির্ধারণ করবে। এবারও আগের মতোই লিখিত ও মৌখিক দু’স্তরেই পরীক্ষা নেয়া হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা ৮০ নম্বর ও ভাইভায় ২০ নম্বর থাকবে।

প্রতিবেদক:আবদুল গনি
১২ মে ২০১৯

Share