চাঁদপুর

চাঁদপুরে নদীশাসনে ১৯০ কোটি টাকা ব্যয় : প্রস্তাবনায় আরো ৬০৮ কোটি

চাঁদপুর সদরের হরিণা-ফেরি ঘাট মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেেক রক্ষায় ৯ শ’৩০ মিটার এলাকার তীর সংরক্ষণ এবং হাইমচরের কালিখোলা হতে হাইমচর বাজার হতে চরভৈরবীর কাটাখাল পর্যন্ত ৮৬০ মিটার ড্রেজিং ও জিও টেস্কটাইল ও আরসিসি ব্লক দিয়ে বাস্তবায়নের প্রকল্প প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।

এতে প্রাক্কলতি ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েেছ ১৯০ কোটি ৭৭ হাজার টাকা টাকা। এর মধ্যে হরিণা অংশের জন্যে ৯৩ কোটি টাকা এবং হাইমচররে অংশের জন্যে ৯৮ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

হাইমচরে দায়িত্ব নিয়োজিত চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী চাঁদপুর টাইমসকে বলনে,‘ইতোমধ্যইে প্রকল্প প্রস্তাব র্বোডে প্রেরণ করার পর ১ আগস্ট ২০১৭ সালে ১৯০ কোটি ৭৭ লাখ টাকার এ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন লাভ করে এবং এ প্রকল্পের কার্যাদেশও দেয়া হয়েছে ।

তিনি জানান, চাঁদপুর সদরের হরিণা-ফেরিঘাট এলাকার তীরসংরক্ষণ প্রকল্প ও হাইমচররে কালিখোলা হতে চরভরৈবীর কাটাখাল র্পযন্ত তীর সংরক্ষণ ও জ্রেজিং প্রকল্প ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এ উপ-সহকারী প্রকৌশলী চাঁদপুর টাইমসকে আরো বলেন, তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং করার জন্যে ৩টি ঠিকাদারকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আগামি দু’এক সপ্তাহরে মধ্যেই ওই ঠিকাদাররা কাজ শুরু করার কথা রয়েছে ।’

এদিকে হাইমচরের ঈশানবালার তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং প্রকল্পটি চাঁদপুর পানি উন্নয়ন র্বোড চলতি বছর ৬ শ’ ৮ কোটি টাকায় বাস্তবায়নরে জন্যে ১ টি প্রকল্প প্রস্তাব পুন:সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে। এ টা হলো-মঘেনা নদীর ভাঙ্গন হতে হাইমচররে পশ্চিমতীরে অবস্থিত নীলকমলের ঈশানবালা হতে জালালপুর চাঁদপুর অংশে ও চাঁদপুর সদররে ইব্রাহমিপুর ইউনয়িনরে আলুর বাজার সংলগ্ন এলাকা সংরক্ষণ প্রকল্প ।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.জাহাঙ্গীর হোসনে চাঁদপুর টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে হাইমচররে নীলকমলরে ঈশানবালা ও চাঁদপুর সদররে ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের আলুর বাজার সংলগ্ন এলাকা সংরক্ষণে একটি বড় ধরনের প্রকল্প প্রস্তাব বোর্ডে পাঠানো হয়।

এতে প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শ’৮ কোটি টাকা। এতে ঈশানবালায় ৮.৩৫ কি.মি তীরসংরক্ষণ ও ৯ কি.মি. ড্রেজিং করা প্রস্তাব করা হয়েছে ।

মেঘনাা নদীর পশ্চমি তীরে অবস্থতি ঈশানবালা হতে দক্ষিণ দিকে চাঁদপুররে নৌ-সীমানা জালালপুর পর্যন্ত জনবসতি স্থাপনা ও আবাদি জমি সংরক্ষণে ড্রেজিং করে নদীর গতিপথ ঠিক রাখতে ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলতে প্রকল্পটি গ্রহণ করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।

এ প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন হলে ঈশানবালার ১২ টি বিচ্ছিন্ন গ্রাম, বসতবাড়ি, জমি,ফসলি জমি, স্কুল, বাজার ও স্থানীয় জনসম্পদ মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পাবে।

প্রতিবেদক : আবদুল গনি
২৯ অক্টোবর, ২০১৮

Share