কুষ্টিয়ার কারাগারে জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি এসএম শামীম আরজু মৃত্যুবরণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কারারক্ষীরা তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শামীম আরজুর স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, সময়মতো চিকিৎসা না দেয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন এ বিএনপি নেতা। এরপর থেকে কারাবন্দি ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে উঠলে তাকে নেয়া হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। দুপুরে হাসপাতাল থেকে তাকে আবারও নেয়া হয় কারাগারে। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে নেয়া হয় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে নেয়ার পরপরই তার মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে এমএ শামীম আরজুর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার জেল সুপার জাকের হোসেন বলেন, কারাবন্দি বিএনপি নেতা আরজু অসুস্থ অনুভব করলে তাকে জরুরি ভিত্তিতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তবে বিএনপি নেতা ও পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ চিকিৎসায় অবহেলার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু বলেন, কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ বিএনপি নেতা আরজুর মৃত্যু হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা ছিল তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার। গুরুতর অসুস্থ আরজুকে সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কেন তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হলো। সে সময় হাসপাতালে ভর্তি রাখা হলে হয়তো এমন পরিণতি নাও হতে পারত।
বিএনপি নেতার স্ত্রী হাসিনা শামীম বলেন, বিনা অপরাধে আমার স্বামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। অসুস্থ অবস্থায় ২৬ মার্চ কুষ্টিয়া কালেক্টরেট চত্বরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যান আরজু। কিন্তু কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অথচ তাকে গ্রেফতার দেখানো হয় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায়। মিথ্যা কলঙ্ক নিয়ে তাকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হলো। যাদের জন্য আমার স্বামীর মৃত্যু হলো তাদের বিচার আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিলাম।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে এমএ শামীম আরজুসহ কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি নেতারা কালেক্টরেট চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে যান। ফেরার পথে জেলা এমএ শামীম আরজুসহ বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। পরের দিন নাশকতা মামলায় তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। সেই মামলায় আরজু কারাগারে ছিলেন।(জাগো নিউজ)
বার্তা কক্ষ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur