Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / ২শ ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের মাধ্যমে ভিক্ষুকমুক্ত উপজেলা ঘোষণা
Bhikkuk-mukto-hajiganj

২শ ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের মাধ্যমে ভিক্ষুকমুক্ত উপজেলা ঘোষণা

মাত্র এক দিনের বেতনের টাকায় ভিক্ষুকমুক্ত হলো পুরো হাজীগঞ্জ উপজেলা। সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের বেতনের টাকায় হাজীগঞ্জের প্রায় দু শ ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করায় জেলায় এ প্রথম কোন উপজেলা ভিক্ষুককমুক্ত ঘোষণা করে প্রশাসন।

গেলো অক্টোবর মাসের স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করণের উদ্বোধন করেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়ার তত্ত্বাবধানে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পর্যায়ক্রমে তাদের স্ব-স্ব ইউনিয়নকে ভিক্ষুক মুক্ত করেন।

সর্বশেষ হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আ. স ম মাহবুব উল আলম লিপনের ঐচ্ছিক চেষ্টায় ৩৭ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের উপকরণ প্রদান করে হাজীগঞ্জ উপজেলাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করছেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান।

উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাদী ও বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউসুফ পাটোয়ারী জানান, আমরা জনপ্রতিনিধিগণ আগে আমাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে যারা ভিক্ষা করে তাদেরকে চিহ্নিত করি। এর পরেই তাদেরকে পুনর্বাসন কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে জরিপ করা হয়। জরিপে যেসব ভিক্ষুকের নাম এসেছে শুধুমাত্র তাদেরকে নিয়ে তালিকা করা হয়।

সে তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেয়ার পর উনি ওই তালিকা উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের দিয়ে যাচাই-বাছাই করেন। সে তালিকার সূত্র ধরেই ভিক্ষুকদেরকে পুনর্বাসনের বন্দোবস্তের লক্ষে রিকশা, ভ্যান গাড়ি, সেলাই মেশিন, ছাগল, হাঁস-মুরগি পালন ও ক্ষুদ্র ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দেয়া হয়।

এরপর পর্যায়ক্রমে উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নে ১৫জন, কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নে ১০জন, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নে ৯ জন, হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নে ১৪ জন ও সদর ইউনিয়নে ২৫ জন, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে ১০ জন ও দ্বাদশ গ্রাম ইউনিয়নে ১৩জন, বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নে ৪ জন, বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নে ৮ জন ও গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে ১১ জন ও স্বর্বশেষ পৌরসভার ৩৭ জনকে পুর্নবাসনের উপকরণ প্রদান শেষে হাজীগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বৈশাখী বড়ুয়া জানান, যারা পুনর্বাসিত হচ্ছে তাদের কর্মকা- নিয়মিত মনিটরিং করার জন্যে ইউপি চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। ভিক্ষুকদের চাহিদা সম্পর্কে জেনেছি এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা করেছি।

এদিকে হাজীগঞ্জ উপজেলায় এখনো ভিক্ষুক রয়েছে দাবি করে বেশ কয়েকজন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভিক্ষুকদের ভিক্ষা করার দৃশ্য প্রকাশ করেছেন।

প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়, ৬ নভেম্বর ২০১৯