Home / উপজেলা সংবাদ / চাঁদপুর সদর / বাংলাবাজারে মসজিদের ভূমিদাতা ও কমিটির দ্বন্দ্বে মুসল্লিদের ক্ষোভ
No Pic Chandpur Times
এ সংবাদের সংশ্লিষ্ট ছবি প্রকাশ হয়নি।

বাংলাবাজারে মসজিদের ভূমিদাতা ও কমিটির দ্বন্দ্বে মুসল্লিদের ক্ষোভ

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাংলাবাজার পূর্ব বাখরপুর এলাকায় বাইতুল মামুর জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও কমিটির দ্বন্দ্বে মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৮৫ সালে স্থানীয় খান বাড়ির হাজী ক্বারী আবদুল লতিফ খান তার বসতঘরের পাশে ৬ শতাংশ নিচু জমি একটি মসজিদ ও মক্তব করার জন্যে দান করেন। পরবর্তীতে ওই জমি ভরাট করে টিনশেড মসজিদ নির্মাণ করা হয়। টানা ১৫ বছর তিনি এ মসজিদের ইমামতি ও দেখাশোনা করতেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তিনি স্বেচ্ছায় একটি কমিটি করার জন্যে প্রস্তাব করেন।

সে আলোকে স্থানীয় এলাকাবাসী ও মুসল্লিগণ সর্বসম্মতিক্রমে মসজিদের উন্নয়নের স্বার্থে ৩ বছর মেয়াদী এমদাদুল হক খানকে সভাপতি, হাজী বশির উল্যাহ, মোঃ দুলাল খান ও আবু মিস্ত্রিরকে সহ-সভাপতি। সেক্রেটারি হিসেবে মোঃ শাহজাহান খান, সহকারী সেক্রেটারী মোঃ মহসীন খান ও কামাল খান, কোষাধ্যক্ষ হিসেবে মোস্তফা কামালকে নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করেন।

এ কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর গত ২ বছর পূর্বে টিনশেড ভবনের স্থলে বিভিন্ন দান-অনুদান সংগ্রহ করে তিনতলা ফাউন্ডেশন নিয়ে একটি একতালা ভবন নির্মাণ করে এবং এটি ঊর্ধ্বমুখী করে মক্তবের জন্যে পরিকল্পনা নেন। এ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে পুনরায় এলাকাবাসী ও মুসল্লিরা উক্ত কমিটিকে পুনরায় ২০২১ সাল পর্যন্ত তথা আগামী ৫ বছরের জন্যে অনুমোদন দেন। নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে আহসান উল্যাহ শেখ ও সহ-সেক্রেটারী পদে আবুল মিজিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই মসজিদের ভূমিদাতার সাথে মূলতঃ কমিটির লোকজন ও স্থানীয়দের সাথে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে আসছে। এলাকাবাসী জানায়, ভূমিদাতা ১৫ বছর যাবৎ মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন।

অপরদিকে ভূমিদাতা হাজী ক্বারী আবদুল লতিফ খানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘আমি ৬ শতাংশ নিচু জমি মসজিদ ও মক্তব করার জন্যে দান করি। পরবর্তীতে এটি ওয়াকফ করে দেই। নিচু জায়গাটি ভরাট করে বিভিন্নজনের সহযোগিতা নিয়ে একটি টিনশেড ভবন করি। অথচ বর্তমানে যারা কমিটিতে রয়েছেন তারা উন্নয়ন করছেন ঠিকই কিন্তু আমাকে কোনো বিষয়ে তেমন একটা অবহিত করেছেন না। এ নিয়ে মূলতঃ তাদের সাথে আমার মতবিরোধ।’

এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, ‘মসজিদ আল্লাহর ঘর। এ নিয়ে কোনো ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করা ঠিক হবে না। যেহেতু ভূমিদাতা হাজী ক্বারী আবদুল লতিফ খান জায়গাটি ওয়াকফ করে দিয়েছেন সেহেতু এটি এখন রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব এলাকাবাসীর।’

করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ১: ৫০ এএম, ১৮ আগস্ট ২০১৭, শুক্রবার
ডিএইচ

Leave a Reply