Home / চাঁদপুর / অটোবাইকের দৌরাত্মে অতিষ্ঠ চাঁদপুরবাসী
অটোবাইকের দৌরাত্মে অতিষ্ঠ চাঁদপুরবাসী
দৃশ্যটি চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের কালীবাড়ি হকার্স মার্কেটের পাশ থেকে তোলা

অটোবাইকের দৌরাত্মে অতিষ্ঠ চাঁদপুরবাসী

চাঁদপুরে ব্যাটারি চালিত অটোবাইকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে অটোবাইকের দৌরাত্ম্যে তীব্র যানজটের শহরে পরিণত হয়েছে চাঁদাপুর। বিশেষ করে শহরের শপথ চত্বর, পালবাজার মোড় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতিদিন যানজট লেগেই থাকে। অবৈধ অটোবাইকের কারণে এই যানজট কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না। ফলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারীরা ও সাধারণ যাত্রীরা।

এছাড়া রয়েছে রাস্তার পাশে দীর্ঘ সময় অটোবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে রাখা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই দিন দিন বেড়ে চলছে এসব অটোবাইক। মাত্রাতিরিক্ত অটোবাইক চলাচল করায় শহরে প্রতিনিয়ত তীব্র যানজট লেগেই রয়েছে।

শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, এসব অটোবাইক চালকদের নেই ড্রাইভিং লাইসেন্স, নেই কোনো প্রশিক্ষণ। যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব গাড়িতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নিচ্ছেন না কেন জানতে চাইলে, ক’জন অটোবাইক চালক জানান, অটোবাইক চালাতে কোনো প্রশিক্ষণ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগে না। অল্প দিনে শেখা ও চালানো যায়। এছাড়া তাদের কাছে কেউ কোনো দিন ড্রাইভিং লাইসেন্স চায়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের কালীবাড়ি থেকে ওয়্যারলেস মোড় পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি অটোবাইক চলাচল করে। এর মধ্যে ছায়াবাণী মোড়, চেয়ারম্যান ঘাট, চিত্রলেখা মোড়, কলেজ গেট, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অটোবাইকের জন্য প্রতিনিয়ত তীব্র যানজট এবং দুর্ঘটনা ঘটে।

একাধিক যাত্রী সাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, অটোবাইক চালকদের কোন প্রশিক্ষণ নেই। সে কারণে তারা যত্রতত্র অটোবাইক পাকিং আর নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া মাঝ রাস্তায় গাড়ি ঘুরানোর কারণে যানজট লেগেই থাকে।

জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক জয়নাল পিপিএম জানান, অটোবাইকগুলো অধিকাংশ ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন। পৌর কর্তৃপক্ষ ১০ হাজারের বেশি লাইসেন্স দেয়ায় এবং অবৈধ অটোবাইকের জন্য যানজটের সৃষ্টি হয়।

তিনি আরও জানান, ১০ থেকে ১২ বছর বয়সী কিশোরদের দিয়ে অটোবাইক চালানোর জন্য মাঝে মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, ‘এসব বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিলে আমরা সহযোগিতা করবো।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, চাঁদপুর শহরে প্রতিনিয়ত নতুন অটোবাইক বিক্রি ও অবৈধভাবে নামানো হচ্ছে। কিন্তু চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। এসব নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ (বিআরটিএ) পৌর কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি নেই।

তবে অটোবাইক চালকদের দাবি, শহরের কোথাও অটোবাইকের নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের নির্ধারিত স্ট্যান্ড করে দিলে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে।

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
: আপডেট, বাংলাদেশ ৬ : ৪২ পিএম, ১ আগস্ট ২০১৭, সোমবার
এইউ

Leave a Reply