ইন্টারনেটে প্রথম যখন এ বাড়ির ছবি ভাইরাল হয়, তখন অনেকেই তুড়ি মেরে বলেছিলেন, ‘দূর, এ যুগে এমন বাড়ি হয় নাকি! এ ফটোশপের কারসাজি ছাড়া কিছু নয়!’ দেখতে এমনই অবাস্তব মনে হয় পর্তুগালের পাথরবাড়ি কাসা দো পেনেদোকে।
দুটি সুবিশাল পাথরের চাঁইয়ের ফাঁকে ছোট্ট একটি বাসা। দেখেই গা শিউরে উঠতে পারে। মনে হবে, এই বুঝি বাড়ির বাসিন্দারা চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়ে গেল! দীর্ঘদিন ধরে তাই বাড়িটার অস্তিত্ব নিয়েই চলছিল তর্ক-বিতর্ক। পরে অবশ্য পর্তুগিজ একটি টিভি চ্যানেলের রিপোর্টের পর পরিষ্কার হয়ে যায় সব।
১৯৭২ সালে শুরু হয় কাসা দো পেনেদোর নির্মাণকাজ। শেষ হতে লাগে দুই বছর। ছবিতে ছোটখাটো মনে হলেও ভেতরে যথেষ্ট জায়গা আছে। শুরুতে বাড়িটি এর মালিকের অবকাশযাপনকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে এলেও এখন এটি একটি জাদুঘর। পেনেদোর ইতিহাস ও পুরনো সব ছবি দেখা যাবে এখানে।
পাথর কেটে বানানো এ বাড়ি মোটেই পাথর যুগের নয়। আরাম-আয়েশের কমতি নেই। বিছানা থেকে ফায়ারপ্লেস, আছে বড় চাঁই কেটে বানানো সুইমিংপুলও। তাতে গোসল করতে করতে উপভোগ করা যায় দিগন্তবিস্তৃত পাহাড়রাজ্য। ভেতরে আছে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি আসবাব ও ঝাড়বাতি। পাশে একটি অতিকায় বায়ুকলের প্রতিষ্ঠান থাকলেও কাসা দো পেনেদোয় নেই বিদ্যুতের সংযোগ।
তবে এমন বাড়িতে বিদ্যুতের দরকারই বা কী! এদিকে পাথুরে ভাবখানাকে আরো পোক্ত করতে নির্মাতারা এর জানালা ও দরজাগুলোও বানিয়েছেন বুলেটপ্রুফ! এখানে যাবেন কী করে? প্রথমে যেতে হবে পর্তুগালের উত্তরের শহর ফাফেতে। ফাফে থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে পেরেইরা গ্রাম। সেখান থেকে বাইকে চড়ে দেড় কিলোমিটার গেলেই মিলবে কাসা দো পেনেদো।
বিশেষ সংবাদ
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৯ : ০৫ পিএম, ২ জুলাই ২০১৭,রোববার
এইউ