সময়টা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) গাছে ঘেরা মফিজ লেকের কাছে দুই শিক্ষককে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজিবুল ইসলাম সজিব। যার একজন তৎকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মতিয়ার রহমান।
মতিয়ারের ছাত্রলীগ নেতার কাছ থেকে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেয়ার স্থিরচিত্রসহ গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়, যা সারাদেশে তোলপাড় তোলে। কিন্তু দুই বছর পর সেই মতিয়ার এখন দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন! প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে মতিয়ারের মতো শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সমলোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা গেছে, ওই সময় ছাত্রলীগ নেতা সজিবের কাছে প্রশিক্ষণ নেয়া দুই শিক্ষকের আরেকজন হলেন তৎকালীন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সাবেক শিক্ষক আজিজুল হক মামুন। মামুন ছাত্রলীগের সোহাগ-নাজমুল কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা সজিবকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে ইবির তৎকালীন প্রক্টর ড. মাহবুবকেও প্রক্টর থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সমালোচিত ব্যক্তিকে ঢাবি পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ জলিল বলেন, আমাদের কাছে এমন কোনো রেকর্ড নেই। আর শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কাজ আমার না। এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ। যা আমার এখতিয়ারের বাইরে।
২০১৬ সালের ১৭ জুলাই নিয়োগ পেলেও বিষয়টি জানা যায় চলতি বছর। এ বিষয়ে মতিয়ার রহমান দাবি করেন, ওই সময় পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি ও প্রতিবেদন ভুয়া ছিল।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়ে পত্রিকার শিরোনাম হওয়া ব্যক্তি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এমনটি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।
তিনি আরও বলেন, নিয়োগের আগে বিভাগের শিক্ষকরা সিলেকশন দিয়ে থাকেন। হয়তো তারা মতিয়ারকে সিলেকশন দিয়েছেন। তবে আমি বিষয়টির খবর নিচ্ছি।(সূত্র : জাগোনিউজ)
নিউজ ডেস্ক
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯: ২৫ পিএম ১৯ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার
এইউ