তাড়াশে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে মুক্তিরাণী নামে এক গৃহবধূ প্রতারিত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার গুল্টা গ্রামের ওতুল খাঁর স্ত্রী।
প্রেমিকের কাছে প্রেমিকার লেখা শেষ চিঠি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার (৬ মার্চ ) দুপুরে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ক্যাবল ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক মুক্তিরাণীর সঙ্গে কৌশলে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
এর এক পর্যায়ে হামিদ মোবাইল ফোনে মুক্তির নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিতে থাকেন। নিরুপায় গৃহবধূ সোমবার দুপুরে গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেন।
মুক্তির মামা শ্রী চন্দন এক্কা জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় মুক্তি তার লেখা শেষ চিঠির বিষয়ে আমাকে বলে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আশরাফ উদ্দিন জানান, শত মানুষের সম্মুুখে মুক্তির স্বামী ওতুল তাড়াশ থানা পুলিশকে তার স্ত্রীর লেখা শেষ চিঠি এবং মোবাইল ফোনটি দিয়ে বলেন, হামিদের কারণেই আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনজুর রহমান বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিউজ ডেস্ক
।। আপডটে,বাংলাদশে সময় ০৭ : ১৬ পিএম, ০৭ মার্চ ২০১৭ মঙ্গলবার
এজি/এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur