চাঁদপুরের সব পৌরসভার শতভাগ স্যানিটেশন গড় অর্জনে আরোও ১৮ ভাগ বাকি রয়েছে। সর্বপ্রথমে ২০০৩ সালের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দেশব্যাপি একটি জরিপ কাজ পরিচালনা করে । রিপোর্ট মতে,চাঁদপুরের ৬ পৌরসভার পরিবারের সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৪শ’৯০ টি।
তখন স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারকারী সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৪ শ’৪৪টি পরিবার । পরবর্তীতে ২০১১ সালের জাতীয় আদমশুমারি অনুযায়ী চাঁদপুরের সব পৌরসভার পরিবারের সংখ্যা জানুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৮ শ’২৪টি পরিবার ।
২০১১ সাল থেকে পৌরসভার নিজস্ব তহবীল ২০% উন্নয়ন কাজের তহবিল কর্তৃক ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সহায়তায় ডিপিএইচ ই ,এনজিও, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও কমিউনিটি কর্তৃক স্থাপিত বা নির্মিত সাস্স্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮ বছরের মাথায় ৫৩ হাজার ৪ শ’ ৮৯ টি পরিবার বৃদ্ধি পেয়ে সাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা দাড়াঁয় ৭৩ হাজার ৯ শ’৩৩ টি।
প্রাপ্ত পরিসংখ্যান মতে, আরো ১৫ হাজার ৪ শ’ ৯১ পরিবারের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারের হাওয়া লাগে নি। যার হার ১৮ %। সবচাইতে পিছিয়ে রয়েছে চাঁদপুর পৌরসভা ।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর চাদঁপুরের দেয়া তথ্য মতে, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জানুযারি ২০১৭ পর্যন্ত চাঁদপুর পৌরসভার পরিবারের সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৭শ ৪৮ টি । এর মধ্যে সাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা হলো ২০ হাজার ৫৫ টি পরিবার । যার অর্জনের হার ৭৭ %।
কচুয়া পৌরসভার পরিবারের সংখ্যা ৫হাজার ১শ’ ২৮ টি । এর মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা হলো ৪হাজার ৯ শ’ ৯টি পরিবার । যার অর্জনের হার ৯৫ %।
শাহরাস্তি পৌরসভর পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৮ শ’ ২৪ টি । এর মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৯ টি পরিবার । যার হার ৮৬ %।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার পরিবারের সংখ্যা ১২ হাজার ৬শ’ ৭৯ টি । এর মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা ১০ হাজার ৬শ’ ১৮ টি পরিবার । যার হার ৮৩%।
মতলব পৌরসভার পরিবারের সংখ্যা ২১ হাজার ৯শ’ ২৪ টি। এর মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা ১৭ হাজার ৭ শ’ ১৯ টি পরিবার । যার হার ৮০ %।
ছেঙ্গারচর পৌরসভার পরিবারের সংখ্যা ১৮ হাজার ৫ শ’ ২০ টি। এর মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা ১৫ হাজার ৫ শ ৯৩ টি পরিবার । যার হার ৮৪%।
পৌরসভাগুলোর শহরতলি বা পল্লী এলাকায় স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারের পরিস্থিতি কিছুটা নাজুক পরিস্থিতিতে বিরাজ করছে ।এ ছাড়াও যৌথ পরিবারগুলো পারিবারিক কারণে একান্নভুক্ত পরিবারে পরিণত হওয়ায় স্যানিটেশন পরিসংখ্যানের পরিবর্তনও হচ্ছে।
চাঁদপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ কবির চৌধুরী চাঁদপুর টাইমসকে জানান , ‘ স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সাফল্য অর্জিত হয়েছে । পরিবেশগত দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই উম্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ করার প্রবণতা মানুষের ভেতর এখন আর নেই ।
সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারে ব্যাপক সচেতনতা বেড়েছে। পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া ও ডিসেন্ট্রি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। গ্রামের বাড়িতে নিজ নিজ পরিবারের ভেতর একটি স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন পারিবারিক মার্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছে ।
জাতীয়ভাবে ২০১৮ সালের মধ্যে সারা দেশে শতভাগ স্যানিটেশন অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বিশ্বে ২০৩০ সালের মধ্যেই হয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন । তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন ও স্যানেটারি প্রজেক্টের আওয়াতায় চাঁদপুর জেলার শাহারাস্তি, হাজীগঞ্জ ও কচুয়ায় জুন ২০১৫-১৬ বছরে প্রাথমিক স্কুলের শতভাগ স্যানিটেশন অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল । ২০১৬-২০১৭ বছরে বাকি উপজেলার প্রাথমিক স্কুলগুলো রয়েছে। ’
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৯:৪৫ পিএম, ২৫ ফ্রেবরুয়ারি ২০১৭, শনিবার.
ডিএইচ