ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানার বাথরুমে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সোনার ডিম পেড়েছেন এক আসামি। ওই আসামির নাম আরিফ উল্লাহ মুন্সি (৩৬)। গত রোববার সকালে মালয়েশিয়া থেকে বিজি-০৮৭ ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন আরিফ। বিমানবন্ধর থানার ১৮(১)১৬ নম্বর মামলার আসামি তিনি।
বিমানবন্দরের শুল্কগোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ তার দেহ তল্লশি করে তিনশ গ্রাম ওজনের তিনটি সোনার বার, এক বোতল বিদেশি মদ এবং ৬৮ কার্টন সিগারেট উদ্ধার করে। এরপর তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়।
সোমবার ওই মামলায় বিমানন্দর থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে এ আসামিকে দুপুর ২টার দিকে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করেন। ১০ দিন রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইউনুস খান।
আদালতে নেয়ার পর রিমান্ড আবেদনের শুনানির আগে তাকে আদালতের হাজতখানার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে রাখা হয়। সেখানে থাকা অবস্থায় আসামি বাথরুমে যেতে চাইলে পুলিশ কন্সটেবল শওকত তাকে বাথরুমে নিয়ে যান। বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর আসামি আরিফ উল্লাহকে কিছু লুকাতে দেখতে পান কন্সটেবল শওকত।
এতে সন্দেহ হলে তিনি আসামি আরিফের কাছে তিনটি সোনার বার দেখতে পান। এরপর কন্সটেবল শওকত বিষয়টি হাজতখানার ওসি মুরাদ হোসেনকে জানালে তার জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আরিফ জানান যে, পশ্চাদ্দেশ দিয়ে ঢুকিয়ে পেটের মধ্যে করে তিনটি বার নিয়ে এসেছিলেন তিনি। বাথরুমে গেলে ওই তিনটি বার পায়খানার সঙ্গে বের হয়ে আসে।
উদ্দেশ্য ছিল রিমান্ড শুনানিতে তাকে আদালতে তোলা হলে ওই তিনটি বার তিনি আত্মীয়-স্বজনদের কাছে দিয়ে দেবেন।
পরে মুরাদ হোসেন বিষয়টি ঢাকার সিএমএম এবং ডিসি প্রসিকিউশনকে জানালে তারা সোনার বারগুলো জব্দ করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করার নির্দেশ দেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওসি হাজত মুরাদ হোসেন রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় এ আসামির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, আসামি আরিফ উল্লাহ মুন্সি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সদর থানার সুলতানপুর গ্রামের মোহাম্মাদ উল্লাহ মুন্সির ছেলে।
নিউজ ডেস্ক ।।আপডেট : ৫:১৪ পিএম, ১৮জানুয়ারি ২০১৫, সোমবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur