বিশ্ব শান্তি, দেশ, জাতি, মুসলিম উম্মাহর সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে চাঁদপুর পুরাণাবাজার মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৩ দিনব্যাপী ৪৩তম ঐতিহাসিক ইসলামী মহাসম্মেলন। শনিবার (২৪ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টায় শুরু হয় আখেরি মোনাজাত।
প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী এই মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ঠ ইসলামী চিন্তাবীদ হযরত মাওলানা মুফিতি হাবিবুর রহমান মেজবাহ্।
ফজরের নামাজ শেসে শুরু হওয়া তাঁর বাংলা আরবি ও উর্দু ভাষায় সুমধুর সুরের বয়ানে সম্মেলন মাঠে হাজার হাজার মুসল্লির কলরব মুহূর্তে থেমে যায়। পরে মোনাজাত শুরু হতেই বিস্তীর্ণ ময়দানজুড়ে নেমে আসে নিরবতা।
উপস্থিত মুসল্লিরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় দুই হাত তুলে ‘আমিন’, ‘আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনি তোলেন। মুসল্লিা তাদের নিজ নিজ গুনাহ মাফ ও আত্মসুদ্ধির মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ কামনায় রাব্বুল আল-আমিনের রহমত ও হেদায়েত প্রার্থনা করেন এবং পিতামাতার জান্নাত কামনা করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
২১ ডিসেম্বর বুধবার থেকে শুরু হওয়া ঐতিহাসিক এই ইসলামী সম্মেলন চলে ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সমাপনি দিনে বয়ান রাখেন, মাওলানা আঃ আউয়াল, পীরে কামেল শাইখুল হাদীস আল্লামা ইমরান মাজাহারী, পীরে কামেল হযরত মাওলানা আব্দুল খালেক, হযরত মাওলানা মুস্তাকুন্নবী, হযরত মাওলানা মুফতি ইলিয়াস, হযরত মাওলানা নুরুল আমি জোহাদী, হযরত মাওলানা শাহাদাত হোসেন কাশেমী, হযরত মাওলানা ইলিয়াস ফরিদী প্রমুখ।
এছাড়াও মাহফিলের ১ম ও ২য় দিনে পীরে কামেল হযরত মাওলানা আশেক এলাহী সহ দেশ বরেণ্য এবং স্থানীয় ওলামায়ে কেরামগণ বয়ান রাখেন।
সম্মেলনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এন্তেজামিয়া কমিটির সভাপতি হাজী আবুল কাশেম গাজী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মাঝি (পৌর কাউন্সিলর)।
আখেরী মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের মাঝে তাবারুক বিতরণ করা হয়।
প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম
: আপডেট, বাংলাদেশ সম ৩: ০০ এএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, রোববার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur