সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে চ্যাটিংয়ের সময় জেলা প্রশাসকের স্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিল এক যুবক। এই অভিযোগে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের ফালাকাটা থানায় ডেকে তাকে বেধড়ক মারধর করেন আলিপুরদুয়ার জেলাপ্রশাসক নিখিল নির্মল। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণণ ও তার বান্ধবী সায়নী সরকার।
স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ওই যুবককে ডিসির মারপিটের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। রোববার ডিসি নির্মলকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বামীর এমন আচরণকে কোনোভাবে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন না স্ত্রী নন্দিনী। বরং স্বামীর এই কাজের জন্য তিনি গর্বিত বলে জানিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে স্বামী নিখিল নির্মলের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছেন, আই লাভ ইউ নিখিল, আই প্রাউড অব ইউ। তোমার স্ত্রী হিসেবে আমি ভাগ্যবতী।
ফেসবুকে নন্দিনী লিখেছেন, অনেক কথা হয়ে গেছে। যদি সরানোর হয় তো সরিয়ে দাও। কিন্তু কারো স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে কোনো মানুষকে বিরক্ত করো না। ভিডিওতে কী দেখানো হচ্ছে তা তোমরা কি কেউ জানো? যা দেখানো হচ্ছে তা জেনেশুনেই দেখানো হচ্ছে। কিন্তু, যা হয়েছে তা কেউ দেখায়নি। হ্যাঁ, শালাকে থাপ্পড়, লাথি মেরেছি। অন্য কেউ হলে মেরেই ফেলতো এ ধরনের লোককে।
ডিসির এই স্ত্রী লিখেছেন, বিয়েতে সাত পাক ঘোরার সময় আমার স্বামী আমার দেখাশোনা, আমাকে রক্ষা, আমার হয়ে দাঁড়াবার কথা বলেছিল। আমি তার জন্য গর্বিত। সে সত্যিকারের হিরো। কেউ আপনার স্ত্রীকে যদি বলে যে তোমার……(অশ্লীল মন্তব্য)। তাহলে এটা ঠিক হবে; তাই তো? নিখিলের বিষয়ে আপনাদের আচরণ ঠিক এরকম, আরে ও (অভিযুক্ত যুবক) তো ধর্ষণ করেনি। শুধু তো কমেন্ট করেছে ভাই। থাপ্পড় মারা ঠিক হয়নি। ওই ধরনের লোক উচ্ছন্নে যাক যারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভুলে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, নিখিল নির্মলের স্ত্রী নন্দিনীর বান্ধবী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী সায়নী সরকারও মারধরের সময় ছিলেন। অভিযুক্ত যুবককে প্রশ্ন করতেও দেখা গেছে। তিনিও ফেসবুক পোস্ট করেছেন। এতে লিখেছেন, যারা নারীদের সম্মান দিতে জানে না তারা ডিসি স্যারের বিরুদ্ধে গেছে। আমাদের মতো সাধারণ মেয়েদের যাতে ছেলেদের খারাপ মন্তব্যের শিকার হতে না হয় তার জন্য স্যারের পাশে থাকতে হবে। আমি সবার কাছে এই অনুরোধ করছি।
Caught on camera: Bengal IAS officer thrashes youth for lewd comments on wife's FB profile https://t.co/xbAPUkl48q by @pooja_zeenews pic.twitter.com/9XZIqyDVL1
— DNA (@dna) January 6, 2019
বার্তা কক্ষ
০৮ জানুয়ারি,২০১৯