ইটভাটা মালিকের খামখেয়ালিপনায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার একটি প্রত্যান্ত অঞ্চলের প্রায় সিকি লাখ মানুষের গ্রামীণ অবকাঠামোগত যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংনের পথে। রাতবিরাত ইটভাটার মাটি বহনের জন্য তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত ট্রাক্টর ব্যবহার করছে।
ফলে পুরো এলাকার সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমানে হুমকির মুখে পড়ছে। তা দেখেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোন ভূমিকা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ উঠছে স্থানীয়দের কাছ থেকে।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলার রামপুর বাজারে অবস্থিত স্থানীয় প্রভাবশালীদের ইটভাটা গত ২ মাস ধরে রাস্তাঘাটের তোয়াক্কা না করে অবৈধ ট্রাক্টর ব্যবহার করে মাটি বহনের কাজ করে আসছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ আইলের রাস্তা হইতে ফিরোজপুর (নতুন বাজার) পর্যন্ত সড়কটি প্রায় একদশক পরে, গত বছর সংস্কার করা হয়েছে। ফলে তাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে।
এমন যখন স্থানীয়দের দাবি ঠিক তখনি কথিত ক্ষমতাসীন দলের লোক দাবি করে আইন-কানুন কিংবা ৩০ হাজার মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি জলাঞ্জলি দিয়ে মহলটি ট্রাক্টর ব্যবহার করে আসছে। ফলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছে কিছুদিন আগে সংস্কার করা এ সড়কটি অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই যানচলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে। যেমনটি ছিল গত এক দশক ধরে।
অপরদিকে স্থানীয় রামপুর বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীদের অভিযোগ চাঁদপুরের বিদায়ী পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার থাকা অবস্থায় থানা থেকে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে ট্রাক্টও জব্দ করা হতো। আবার জব্দ করা সম্ভব না হলে ওই সব ট্রাক্টরগুলোর সামনের বড় ২টি চাকার টায়ার কেটে দেয়া হতো।
বর্তমানে তার উল্টো চিত্রের অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। তাদের দাবি থানা-পুলিশ ট্রাক্টর জব্দ কিংবা টায়ার কাটাতো দুরের কথা উল্টো মাস শেষে উৎকোচ গ্রহণ করছে। ফলে গ্রামীন যোগাযোগ মাধ্যমের অবকাঠামোগুলো ভেঙ্গে পড়ছে।
এদিকে ওই এলাকার স্থানীয়রা আরো দাবি করছেন, ইটভাটার মাটি আনা হচ্ছে, ফিরোজপুর, বিষকাটালী, চৌমুহনী, সন্তোষপুর, রামপুর, লাড়–য়া, নলডুগী, হাওয়াকান্দি, গোয়াল ভাওর, চররায় ঘোবরা, রাগারে চর ও হাঁসা এলাক হতে। ফলে মুল সড়কের পাশাপাশি এসব গ্রামের সাধারণ রাস্তাগুলোর অবস্থা চলাচলের চরম পর্যায়ে নিয়ে আসছে কথিত ইট ব্যবসায়ী নামক এই দানবরা।
তাদের এমন অত্যাচারের হাত থেকে গ্রামীণ জনপদ রক্ষার জন্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় বাসিন্দরা।