Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে পুরুষের ভুয়া জন্ম সনদে স্কুলছাত্রীর গায়ে হলুদ, অতঃপর…
ভুয়া জন্ম সনদ
প্রতীকী ও ফাইল ছবি

হাজীগঞ্জে পুরুষের ভুয়া জন্ম সনদে স্কুলছাত্রীর গায়ে হলুদ, অতঃপর…

যেখানে বর্তমান সরকার বাল্য বিয়ে মুক্ত বাংলাদেশ ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছেন, ঠিক সে সময় কিছু এলাকায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার- চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় প্রতিনিয়ত হচ্ছে বাল্যবিয়ে ।

বিষয়টি নিয়ে বরাবরের মতো কঠোর রয়েছেন দেশসেরা চাঁদপুর জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডল।

তাঁর হস্তক্ষেপে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) জাল জন্ম নিবন্ধন দ্বারা বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেলো হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের মৈশাইদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী ও মৈশাইদ গ্রামের রিয়াজউদ্দিন সরদার বাড়ীর প্রবাসী নুরুল ইসলাম এর মেয়ে ফেরদোসী আক্তার জান্নাত।

এ বিষয়ে গত বৃস্পতিবার ক’জন গণমাধ্যমকর্মী সরেজমিনে গিয়ে বাল্যবিয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলে ছাত্রীর পরিবার একটি জাল জন্ম নিবন্ধন দেখায়। অনলাইনে চার্জ দিয়ে দেখা গেছে এ নিবন্ধনের কোন অস্তিত্ব নেই। এটি কম্পিউটারে তৈরি কার একটি জাল জন্ম নিবন্ধন। এছাড়া জাল সনদের মধ্যে দেখা গেছে লিঙ্গ নারীর স্থানে পুরুষের নাম, নম্বরপত্রে এলোমেলোসহ চেয়ারম্যানদের স্বাক্ষর জাল।

এমন বাস্তবতা পাওয়ার পর ছাত্রীর পরিবার গণমাধ্যমকর্মীদের নগদ অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়।

গণমাধ্যম কর্মীরা ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসীকে বাল্যবিয়েটা বন্ধ করার অনুরোধ করেন। ছাত্রীর পরিবার গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ ও আইন তোয়াক্বা না করে স্থানীয় কিছু নেতার প্রভাব খাটিয়ে রাতে গায়ে হলুদ সম্পন্ন করে এবং বিয়ের প্রস্তুতি নেয়।
গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম মজুমদারকে অবহিত করলে তিনি নোট করে রাখেন। প্রশাসনিক ব্যবস্থা চোঁখে না পড়ায় শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মন্ডলকে গনমাধ্যম কর্মীরা বিষটি অবগত করলে, তিনি সাথে সাথে স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। দুপুরে পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়।

হাজীগঞ্জ থানার এস আই মো. শাহজান জানান, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে বয়স প্রমাণের সত্যতা পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি এবং পরিবারের উদ্যেশে বলেছি পরবর্তিতে এ বিয়ে হলে আপনাদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম (এলএলবি) বাল্যবিয়ে বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এতো গণসচেতনতা বৃদ্ধির পরেও বাল্য বিয়ে বন্ধ হচ্ছে না। এর জন্য সামাজিকভাবে আরো সচেতন হওয়া জরুরি।’

: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:০০ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ
প্রতিবেদক- জহিরুল ইসলাম জয়, হাজীগঞ্জ

Leave a Reply