চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার দোয়াভাঙ্গা সিএনজি পাম্পে অবৈধ পন্থায় প্রতিদিন অন্তত ৪শ’ থেকে ৫শ’ অন টেস্ট সিএনজি গ্যাস নিতে সাহায্য করছে একটি অসাধু চক্র।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সকল গ্যাস পাম্পে অনটেস্ট সিএনজিতে গ্যাস দেওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চক্রটি পাম্পের বাহিরে ছোট শিশুদের দিয়ে অন্য গাড়ির লাইসেন্স এনে অন টেস্ট গাড়ির সামনে ঝুলিয়ে দিয়ে গ্যাস নেয়ার ব্যাবস্থা করে দিচ্ছে। বিনিময়ে চক্রটি সিএনজি প্রতি ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কাউছার, বাদশা, রফিক, আজগরসহ ক’জন সিএনজি স্কুটার চালক জানায়, ‘আমরা পাম্পের সামনে দাড়ালেই অন্য গাড়ির লাইেসন্স দিয়ে গ্যাস নেই। আর গ্যাস নিয়ে যাওয়ার সময় ৫০ টাকা বা ১০০ টাকা দিয়ে নাস্বারটা খুলে দেই। আমরাতো গ্রাম এলাকায় গাড়ি চালাই। তাই লাইসেন্স দরকার হয় না।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়, মানিক, শাহাদাত, টুনু, আনোয়ারসহ আরো কজন পাম্পের লোকজনের সাথে মিল করে এ কাজ চলাচ্ছে। যারা বিরুদ্ধে কথা বলছে তাদেরকে ম্যানেজ করা হচ্ছে। যদি এ ধরণের কর্মকান্ড চলতে থাকে তাহলে নিষেধের প্রয়োজন কি?
প্রতারণার কাজটি তারা শিশুদেরকে দিয়ে করানোর কারণে প্রথমেই বিষয়টি কারো চোখে পড়বে না। অন টেস্ট স্কুটারগুলো পাম্প থেকে কিছুটা দুরুত্বে আসা মাত্রই শিশুগুলো প্লেট হাতে দৌড়ে যায়। প্লেটগুলো সাথে জিআই তার পেছানো থাকায় খুব সহজে স্কুটারটি সামনে এবং পেছনে তারা লাগিয়ে ফেলে। তাদের পাশেই রাখা থাকে ২৫ থেকে ৩০টি ডিজিটাল নম্বর প্লেট।
দূর থেকে ওই নম্বার প্লেটটি নকল হিসেবে বুঝা না গেলেও কাছ থেকে স্পষ্ট ধরা পড়ে।
প্রশাসনের সিন্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাম্প কতৃপক্ষের যোগসাজশে একটি চক্র কাজটি দীর্ঘদিন থেকে করে যাচ্ছে। হাজীগঞ্জ ও কুমিল্লা মাঝামাঝি আরো কোনো সিএনজি ফিলিং স্টেশন না থাকায় অন্যান্য অঞ্চলের সিএনজি স্কুটারগুলো দোয়াভাঙ্গা ফিলিং স্টেশনে এসে ভিড় করে।
এ বিষয়ে পাম্প কর্তৃপক্ষের কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি এবং দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকেও পাওয়া যায়নি।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৮:৪০ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur