ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর কড়াইতলা নামক স্থানে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অজ্ঞাত সেই নিহত ‘ডাকাতের’ পরিচয় প্রকাশ হয়েছে।
নিহতের স্বজনরা লাশ সনাক্ত করে জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডুর রঘুনাথপুর ইউনিয়নের নারায়নপুরের মো. খলিলের ছেলে মো. লাল মিয়া।
নিহত লালের আত্মিয় স্বজনরা জানিয়েছেন, লাল ৫/৬ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলো, খোঁজা-খুঁজির একপর্যায়ে শুক্রবার তারা লাশের সন্ধান পায়।
প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর কড়াইতলা নামক স্থানে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ লাল (৪৬) নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের দুই কনস্টেবল রতন ও আল-আমিন আহত হন বলে দাবি করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ১টি শাটার গান, ৫টি বোমা, গাছ কাটার করাত, ৪টি রামদা, ১ রাউন্ড গুলি ও রশি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইমরান আলম জানান, রাতে পুলিশ টহল ডিউটি করছিল। টহল গাড়িটি পিরোজপুর কড়াইতলা নামক স্থানে পৌছে রাস্তার ওপর গাছ ফেলানো দেখতে পায়।
পুলিশ নাশকতার আঁচ পেয়ে গাড়ি থামালে ডাকাতদল আকস্মিক ভাবে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ২টি বোমা ছুড়ে মারে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়। পরে ঘটনাস্থলে লালের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এ সময় বাকি ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পুলিশ লাল ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহফুজুল আলম সোহাগ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ১৭ রাউন্ড গুলি চালায়। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র,গুলি বোমা ও রামদা উদ্ধার করে পুলিশ।