বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নারীকে স্থানীয় জনতা স্কুলকক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় হাতে-নাতে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে বীরগড় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত প্রধান শিক্ষকের নাম আব্দুর রহমান (৪৮) ও দুই সন্তানের জননী আশফিয়া (ছদ্মনাম)।
প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী জালাল চাঁদপুর টাইমসকে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে বিদ্যালয়ের পতাকা বাঁশ থেকে খুলে ‘অফিস কক্ষে’ রাখতে যায়। এসময় দেখি ‘ওই নারী অর্ধ-উলঙ্গ’ অবস্থায় অফিস কক্ষের চেয়ারে বসে আছে। আমি ভয়ে ‘চিৎকার’ দিলে সে দৌড়ে অফিস কক্ষের ‘বাথরুমে’ ঢুকে যায়। এসময় তার ‘চিৎকার শুনে’ আশে-পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
পরে স্থানীয় লোকজন ওই নারীকে বাথরুমের দরজা খুলতে বললে সে দরজা খুলতে অস্বীকার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী এনামুল, সাজুসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বিদ্যালয়ে আসলে মেয়ে বাথরুমের দরজা খুলে দেয়। এ সময় প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে ওড়না, ফ্লোরে বিছানো মাদুরের উপরে ব্লাউজ, পোষাক ও একটি আপত্তিকর বস্তু পড়ে থাকতে দেখা যায়।’
ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামানসহ স্থানীয় জনতার সম্মুখে ওই নারী জানান, ‘দুই থেকে আড়াই মাস আগে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমানের সাথে তাঁর পরিচয় ঘটে। এরই সূত্র ধরে অনৈতিক কাজ করার জন্য সোমবার দুপুরে তাকে ফোন দিয়ে আসতে বলে। তাই সে সোমবার বিকাল ৫টার দিকে বিদ্যালয়ে আসে।’
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল কুদ্দুছ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘আব্দুর রহমান (৪৮) ও এক নারীকে বিদ্যালয়ে রুম থেকে আটক করা হয়েছে।’