প্রতিপক্ষ ভারত। সুতরাং, যেমন ইচ্ছা তেমন আউট দিয়ে দিতেই হবে- এমন মানসিকতাই যদি ম্যাচের আম্পায়ার এবং অফিসিয়ালদের থেকে থাকে, তাহলে আর খেলার দরকারই বা কি? আগে থেকে ভারতকে ট্রফিটা দিয়ে দিলেই হয়। সবই তো পূর্বি নির্ধারিত।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ হওয়া মানেই সেখানে আম্পায়ারের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব থাকবেই। সেটা মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হোক, সেটা এজবাস্টনে হোক কিংবা সেটা দুবাইর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হোক। বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আম্পায়ার দেবেনই। সেটা আউট হোক বা না হোক।
শুরু থেকেই দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার লিটন কুমার দাস। ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরিটাও তুলে নেন তিনি মাত্র ৮৭ বলে। ১২১ রান নিয়ে তিনি বাংলাদেশের ইনিংসকে সগর্বে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
এমন সময়ই বিতর্কিত সিদ্ধান্তটির মুখোমুখি হলো লিটন কুমার দাস এবং বাংলাদেশ। ৪১তম ওভারে ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের শেষ বলটি একটু এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিস করেন লিটন। বলটি ধরে সঙ্গে সঙ্গেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন কিপার ধোনি। আউটের আবেদন করলে ফিল্ড আম্পায়ার থার্ড আম্পায়ার কল করেন।
টিভি আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন রড টাকার। বারবার রিপ্লে দেখা হলো। নানা কোন থেকে বিশ্লেষণ করা হলো। সব দেখাতেই, সব বিশ্লেষণেই দেখা যাচ্ছিল, স্ট্যাম্প ভাঙার আগেই লিটনের পা লাইন স্পর্শ করে ফেলেছিল। এমনকি পা ছিল গ্রাউন্ডেই। এই প্রথম দেখা গেলো পায়ের অবস্থান ম্যাগনেটিক গ্লাস দিয়েও পর্যবেক্ষণ করতে। এমনকি স্ট্যাম্প ক্যামেরা দিয়ে দেখা হলো। সেখানেও দেখা গেলো লিটনের পা লাইন স্পর্শ করার পরই স্ট্যাম্প ভাঙা হলো।
ধারাভাষ্যকাররা বারবার বলছিলেন, বেনিফিট অব ডাউট ব্যাটসম্যানের পক্ষেই থাকার কথা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টিভি আম্পায়ার রড টাকার টিপে দিলেন লাল বাতি। স্টেডিয়ামে উপস্থিত সব দর্শকরাও বিস্ময়ে হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো স্কোরবোর্ডের দিকে। এটা কি দেখছেন তারা। এও কি আউট হয়। জোর করে আউট দিতে হবে। সামান্য সম্ভাবনা থাকলেও, সেটা যদি আউট নাও হয়, তবুও দিতে হবে?
টিভি আম্পায়ার আউট দিলেন। ব্যর্থ মনোরথ হয়ে আউট স্বীকার করে নিয়েই মাঠ ছেড়ে আসলেন লিটন কুমার দাস। পরিসমাপ্তি ঘটলো ১১৭ বলে খেলা লিটন কুমার দাসের ১২১ রানের লড়াকু ইনিংসটির। ১২টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার ছিল তার ব্যাটে। ১৮৮ রানের মাথায় আউট হলেন লিটন।
বার্তা কক্ষ
সেপেটম্বর ২৮,২০১৮