চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার আলগী উত্তর ইউনিয়নের ভিঙ্গুলিয়া গ্রামে জনবহুল একটি পুরাতন রাস্তা মেরামত করতে যাওয়ায় ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে নিরীহ পরিবারকে ‘হয়রানী’ করা হচ্ছে।
রাস্তার পাশের জমির মালিক মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন ও মোস্তফা উল্টো অভিযোগ করেন ‘এটি রাস্তা নয় এটি একটি ফলজ ও বনজ বাগান। ফলজ বাগান কেটে নতুনভাবে কাচা রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে একটি পক্ষ। ’
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের কেভিএন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ম মধ্য ভিঙ্গুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা সড়কের পাশে কবিরাজ বাড়ি যাওয়ার রাস্তাটি ৫০/৬০ বছরের পুরনো। স্কুল মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ অনেক লোক এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। ২০০৮ সালে সরকারি ত্রাণ তহবিল থেকে রাস্তাটি প্রশস্তকরণসহ পূর্র্ণ মেরামত করা হয়। বর্ষায় রাস্তার দু পাশের কিছু মাটি সরে যাওয়ায় কিছু দিন পূর্বে পারিবারিকভাবে রাস্তাটি মেরামত করণের ‘উদ্যোগ’ নিলে রাস্তার পাশের জমির মালিক স্থানীয় বিল্লাল হোসেন ও মোস্তফা রাস্তা মেরামতে ‘বাধা’ দেয়।
জমির মালিকরা রাস্তা তৈরির উদ্যোগ গ্রহণকারী পরিবারের বিরুদ্ধে চাঁদপুর আদালতে মামলা (নং ১১) দায়ের করে। এতে পরিবারটির ৩ ভাই মিন্টু কবিরাজ, মোশারফ কবিরাজ ও নয়ন কবিরাজকে আসামী করা হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সলেমান কবিরাজ চাঁদপুর টাইমসকে জানান ‘এ রাস্তাটি খুবই জনবহুল, প্রতিদিন প্রায় হাজারো লোক যাতায়াত করে থাকে। একটি পক্ষ পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে রাস্তা সংস্কারে বাধা প্রদান করে আসছে এবং মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ তুলে মিন্টু কবিরাজের পরিবারকে হয়রানী করে আসছে। এখানে কোন বনজ বা ফলজ গাছ নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিন্টু কবিরাজ চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘রাস্তাটি খুবই পুরনো, ইতি পূর্বে রাস্তাটি পিছ ঢালাইয়ের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী ৫ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প অনুদান দেন। এ কাজ করতে যেয়েই মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে।’
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনির আহমেদ দুলাল চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘রাস্তাটি খুবই পুরনো। বেশ কিছু পরিবারের লোকজন এটি দিয়ে যাতায়াত করে আসছে। ইতিপূর্বে সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আ. রহমান মিয়াজি রাস্তাটি মেরামতে প্রকল্প বরাদ্ধ দিয়েছিলেন।’