চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার নওগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ভাবে দেড় লাখ টাকায় রফা-দফা করেছে এলাকার কতিপয় মাতব্বর।
ধর্ষণ চেষ্টায় ওই ছাত্রীর আদালতে মামলা করলে স্থানীয়দের চাপে পড়ে গত ২০ জুলাই শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে তা চাপের মুখে মিমাংসা করা হয়।
স্থানীয় একাধিক ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ‘উপাদী উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ নওগাঁও গ্রামের হাজী মার্কেট সংলগ্ন (ঢালী বাড়ী) ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ওই ছাত্রীকে গত ১৮ এপ্রিল ধর্ষণের চেষ্টা করে এলাকার বিল্লাল হোসেন খানের ছেলে ইব্রাহিম খান, অলির ছেলে মাহফুজ ও বিল্লাল (চা দোকানদার) এর ছেলে রাসেল ওরফে পুরি রাসেল।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে নওগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ও এর আশ পাশের কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বাজারের লোকজন মানববন্ধন করে।
ঘটনার পর ছাত্রীর চাচা মিজানুর রহমান ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে চাঁদপুরের আদালতে মামলা করে।
মামলার পর থেকে আসামীরা পলাতক থাকলেও তাদের স্বজনরা ওই ছাত্রীর চাচার উপর মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করে বলে জানানো হয়। ছাত্রীটির মা-বাবা জীবিত না থাকায় অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েন তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ ‘মামলার হাত থেকে আসামীদের বাঁচতে এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান কাউয়ূম খান, সাবেক মেম্বার মোশারফ হোসেন (মশু মজুমদার), উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিবাবক সদস্য লিটন সরকার, বর্তমান ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া, জসিম ঢালীসহ প্রভাবশালী ব্যক্তি ও মাতাব্বররা মিলে অভিযুক্ত ওই তিনজনকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করে। সে সাথে মামলার বাদিকে আদালত থেকে মামলাটি তুলে নেওয়া জন্য বলে দেন।’
শালিশী বৈঠকের বিষয়ে মশু মেম্বার বলেন, ‘সার্বিক বিবেচনা করে এই রায় করা হয়েছে এবং অর্ধেক টাকা দেওয়া হয়েছে। সস্পূণ টাকা মেয়ের পরিবারকে দেয়া হবে।’
ওই ছাত্রীটির ভাই হাবিব বলেন, ‘অর্থের অভাবে মামলাটি চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এই সুযোগে প্রভাবশালীরা অনেকটা বাধ্য করেই আপোষ মীমাংসা করেছেন।’
এ সংক্রান্ত আগের নিউজটি ক্লিক/টাচ্ করে পড়ুন…
মতলবে স্কুলছাত্রীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় প্রতিবাদসভা
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১:৫৯ পিএম, ২৪ জুলাই ২০১৬, রোববার
ডিএইচ