চাঁদপুর মতলব পৌরসভার মধ্য কলাদী এলাকার এক কলেজ ছাত্রীর ‘সুসাইড নোট’ লিখে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রেমের সর্ম্পক গড়ে বিয়ে করার জন্যই ছেলের পরিবার কর্তৃক বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার কথা শুনেই সে আত্মহত্যা করতে চেষ্টা করে। মেয়েটি চাঁদপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অর্নাস (সমাজকর্ম) বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী।
বর্তমানে সে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ছাত্রীটির মা ও এলাকা সূত্রে জানায়, মতলব পৌসভার মধ্যকলাদী এলাকার ব্যবসায়ী বিল্লাল ফরাজীর ছেলে মাইদুল ফরাজীর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সর্ম্পক চলে আসছে। সে প্রেমের সর্ম্পকে স্থায়ী করার জন্য গত ১৪ জুলাই তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে রাতে চাঁদপুর শহরের শেরাটন হোটেলে অবস্থান করে। পরের দিন (১৫ জুলাই) জেলা আদালতের তপু মুহুরির সহযোগিতায় মুরাদ উকিলের মাধ্যমে বিয়ে করে।
এদিকে ছেলে ও মেয়ের উভয় পরিবার বহু স্থানে খোঁজা-খুজি করে অবশেষে গত ১৯ জুলাই তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনে।
বাড়িতে আসার পর ছেলের বাবা বিল্লাল ফরাজী নিজে এবং বিভিন্ন লোকদিয়ে কলেজছাত্রীর পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। যাতে তাদেরবিয়ে ভেঙ্গে দেওয়া হয় এবং ছাত্রী যেন ছেলের সাথে কোন যোগাযোগ না রাখে।
ছেলে-মেয়ের পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করার বিষয় নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে শালিশী বৈঠক হয়। এতে বিয়ের সর্ম্পক ছিন্ন করার সিদ্বান্ত নেয় ছেলের পরিবার।
তাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রী ২৩ জুলাই দুপুরে পরিবারের সবার অগোচরে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে আশঙ্কাজকন অবস্থায় প্রথমে মতলব দক্ষিণ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসাপাতালে প্রেরণ করে।
এদিকে ছাত্রীটির লেখা সুসাইড পাওয়া গেছে, যা তার বড় বোন সাংবাদিকদের দেখায়।
সুসাইড নোট সূত্রে জানা যায়, ‘মাইদুলকে ছেড়ে দিতে শ্বশুর পক্ষের লোকজন তাকে সরে যেতে বলেছিলো, কিন্তু মাইদুল (স্বামী) তাকে ছাড়া বাঁচবে না। শালিসের দিন মাইদুলের নিশ্চুপভাবে বসে থাকা আর নিজের মা-বাবাকে অপমানিত হতে দেখে সে হতাশ হয়ে পড়ে।’
এ বিষয়ে মাইদুলের বাবা বিল্লাল ফরাজী বলেন, ‘আসলে এটি একটি নাটক, তারা আমাদের ফাঁসাতেই এমনটি করছে।’
প্রতিবেদক- পলাশ রায়, মতলব দক্ষিণ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur