Home / সারাদেশ / ঘটনা সম্পর্কে বিবিসিকে দেয়া প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য
ঘটনা সম্পর্কে বিবিসিকে দেয়া প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য

ঘটনা সম্পর্কে বিবিসিকে দেয়া প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য

টেলিফোনে বিবিসি বাংলাকে গুলশানের একজন বাসিন্দা রাশিলা রহিম ঢাকার গোলাগুলির ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। যে রেস্টুরেন্টে জঙ্গীরা বেশ কিছু মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে তার খুব কাছেই এক ভবনের ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি।

গুলশানের একজন বাসিন্দা রাশিলা রহিম ঢাকার গোলাগুলির ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন টেলিফোনে বিবিসি বাংলাকে। যে রেস্টুরেন্টে জঙ্গীরা বেশ কিছু মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে তার খুব কাছেই এক ভবনের ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি।

সেখান থেকে টেলিফোনে তিনি বিবিসির মানসী বড়ুয়াকে জানান, রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি বাসা থেকে বেরুতে গিয়ে জানতে পারেন সেখানে কোন একটা গন্ডগোল চলছে।

“আমাকে আমার ড্রাইভার বললেন, আপা আপনি এখন বেরুবেন না, নীচে গোলাগুলি চলছে।”
রাশিলা রহিম জানান, এরপর তিনি নিজেও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান।

“তারপর দেখি আমার ড্রয়িং রুমের জানালার কাঁচে ফেটে গেল। তারপর থেকে অনবরত গুলির শব্দ শুনতে পাই।”

“এরপর আমার মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। আমরা সবাই কান্নাকাটি শুরু করি। কারণ খুবই আতংকজনক একটা পরিস্থিতি।”
“রাত নটার পর থেকে অনবরত গান শট শুনতে পাচ্ছি। “টু মাচ টু টেক”।

একটু আগে আমি সাহস করে বেলকনিতে বেরিয়েছিলাম। দেখি প্রচুর পুলিশ। অনেকক্ষণ ধরেই কেবল দেখছি পুলিশ আর পুলিশের গাড়ীর আওয়াজ। কিন্তু পরিস্থিতি আগের মতোই। আমার মনে হচ্ছে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

“রাত দশটার দিকে সেখানে মাইকিং করে পুলিশ যারা ভেতরে ছিল তাদের বাইরে বেরিয়ে আসতে বলছিল। এরপর আবার গোলাগুলি শুরু হয়।”

এদিকে আরেক তথ্যে জানা যায়, এ হামলায় আইএস দায় স্বীকার করেছে, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে নৌ বাহিনীর কমান্ডো একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে। র‌্যাব মহাপরিচালক অভিযানের চিত্র লাইভ সম্প্রচার করতে বারণ করেছেন।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ২:০৩ এএম, ২ জুলাই ২০১৬, শনিবার
ডিএইচ

Leave a Reply