চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে মাদক বিক্রি কিছুতেই যেনো বন্ধ করা যাচ্ছে না। উল্টো দিনে দিনে এ অঞ্চলটিতে মাদক বিক্রেতাদের সংখ্যা যেনো বেড়েই চলছে।
স্থানীয় মাদক বিক্রেতাদের অধিকাংশ এখন নয়া কৌশল অবলম্বন করে মাদক বিক্রি করছে। নিজেরা পর্দার আড়ালে থেকে স্থানীয় বিপদগামী কিশোর ও যুবকদের দিয়ে ভ্রাম্যমান মাদক বিক্রেতা হিসেবে ইয়াবা বিক্রি করছে।
তেমনি এক ভ্রাম্যমান মাদক বিক্রিতা ও মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন তার পিতা। সোমবার (২৭ জুন) বিকেলে হাছান হাওলাদার নামের ওই পিতা তার পুত্র রায়হান (১৯) কে মাদকসহ পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুরাণবাজার বাকালি পট্টি মাছ বাজারে ইয়াবা বিক্রির সময় স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে আটক করলে পিতা হাছান পুরাণবাজার ফাঁড়ি পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ তার দেহ তল্লাশি করে ৮ পিছ ইয়াবা উদ্ধার এবং তাতে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।।
চাঁদপুর শহরের ব্যবসায়িক এলাকা পুরাণবাজার মধ্যশ্ররামদী কবরস্থান, বৌ বাজার, নতুন রাস্তা ও মাছ বাজার এলাকায় বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবৎ কৌশল অবলম্বন করে কিশোর বয়সের যুবকদের দিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছিলো।
এদের মধ্যে অন্যতম নতুন রাস্তার সরকারি পুকুরের পাশে জয়নাল শেখের ছেলে আরিফ, খালের দক্ষিণ পাড়ের রাজু, কবরস্থান এলাকার হাফিজ মিজির পুত্র মাসুদ ও বাবুল, আবুলের ছেলে স্বপন, একই এলকার হেলাল, বৌ বজার এলাকার শাজাহান সর্দারের পুত্র কালু ওরফে গেলেন কালু, সিরু মাঝির পুত্র কালু মাঝি, রোশন আলীর পাটোয়ারীর পুত্র খালেক, পশ্চিম বাজার দুধপট্টি এলাকার অলি ওরফে অইল্লা চোরা, হাসান চোরা, মেরকাটিজ রোড় এলাকার নুরু মিজির পুত্র বাচ্চু মিজি, মনসুর মিজি, আলিয়ার বিল এলাকার ফজল বেপারীর স্ত্রী তগরী বেগম ও পুত্র সোহেলসহ বেশ ক’জন মাদক ব্যবসায়ী স্থানীয় কিশোর-ও যুবক বয়সী ছেলেদে দিয়ে ইয়াবা বিক্রি করছে।
এ মাদকদ্রব্যটি অতি ক্ষুদ্রকায় ও বহনযোগ্য হওয়া কিশোর ও যুবকরা কমিশনের মাধ্যমে তা বিক্রি করে আসছে।
একটি সূত্রে জানা যায়, বৌ বাজার এলাকার লাকড়ি ওয়ালার বাড়ির শাজাহান সর্দারের পুত্র কালু ওরফে গেলেন কালুই মূলত চট্্রগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে ইয়ার চাল পুরাণবাজারে নিয়ে আসে। সে বিভিন্ন মাদক বিক্রেতাদের ভাড়াটে হয়েও কাজ করে। এছাড়াও পুরাণবাজারের বেশ ক’জন পুলিশের সোর্স সেজে গোপনে মাদক বিক্রি করে আসছে।
আটক রায়হানের পিতা জানায়, তার ছেলে দীর্ঘদিন যাবৎ ভ্রাম্যমান মাদক বিক্রেতা হিসেবে ইয়াবা বিক্রি করে আসছিলো। বহুবার বারণ করার পরেও তাকে ইয়াবা সেবন ও বিক্রি থেকে ফেরানো যায়নি।
তিনি আরো জানান, ‘এ কিশোর ও যুবকদের দিয়ে যারা মাদক বিক্রির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে আটক করলে পুরাণবাজারে ইয়াবা বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে।’
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ‘পুরাণবাজারে প্রায় শতাধিক মাদক ব্যাবসায়ীকে মাদকসহ আটক করার পরেও তারা জেল জামিনে থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় ব্যবসা শুরু করে। মাদক নির্মূলে ওই এলাকায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১:০০ এএম, ২৯ জুন ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ