কিশোরী মেয়েকে ‘ধর্ষণ’ : বাবা আটক

‘স্যার আমাকে বাচাঁন। আমার পিতা আমাকে বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায় আমি অসুস্থ হয়ে গেছি। আমার হাত বেঁধে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষন করে আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আমি কৌশলে পালিয়ে এসেছি। এখন আপনার সাহায্য চাই।’

রোববার (২৯ মে) বিকাল ৫ টার দিকে ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো: রাশেদ খান চৌধুরী মেয়েটির বরাত দিয়ে এভাবেই পাষণ্ড পিতার পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা দেন।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো. রাশেদ খাঁন চৌধুরী জানান, ১৭ বছর বয়সী মেয়েটির অভিযোগ পেয়ে রোববার বিকেলে মহামায়া ইউনিয়নে তাদের বাড়ি থেকে ৪৫ বছর বয়সী রফিককে আটক করা হয়।

কিশোরীর মা বলেন, রোববার তিনি তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যান। সেই সুযোগে মেয়েকে একা পেয়ে তার শোয়ার ঘরে ঢুকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। এর আগেও কয়েকবার ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল।”

ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো: রাশেদ খান চৌধুরী জানান, রফিকের বাড়ীটি ছিল একা নির্জন এলাকায়। ইতিপূর্বেও রফিক তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় বলে তার স্ত্রী আসমা আক্তার পুলিশকে জানায়। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাবাকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে ওই কিশোরী।

এদিকে নির্যাতিতা কিশোরীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে রাতেই মেয়েটি বাদী হয়ে মো: রফিককে আসামী করে ছাগলনাইয়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৪:২০ পিএম, ৩০ মে ২০১৬, সোমবার
ডিএইচ