রমজান আসার পূর্ব মুহূর্তে অত্যাবশ্যকীয় সব পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। বিশেষত খেজুর, ছোলা, ডাল, আলু, বেগুনি, ধনেপাতা, লেবু, মাছ ও মাংসসহ অনেক পণ্যের বাজার অস্থির। হুঁ হুঁ করে দাম বাড়ছে। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হচ্ছে। তাতেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে মনে করছেন সাধারণ ক্রেতারা।
চাঁদপুর শহরের বিপনীবাগ মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ থেকে ২৫শ’ টাকায়। এ মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিক কোন কারণ জানাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া অন্যান্য মাছের মধ্যে চিংড়ি প্রতি কেজি ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা, কাতল ৫শ’ থেকে ৬শ’ কাইল্লানী প্রতি কেজি ৪শ’ থেকে ৫শ’, শৈল ৫শ’ থেকে ৬শ’, রুই ৩শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ পোয়ামাছ ৬শ’ থেকে ৭শ’, পাংগাস ১শ’ ৩০ থেকে আড়াইশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ মূল্য স্বাভাবিক অন্যান্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক বেশি বলে দাবি করছেন ক্রেতারা।
এদিকে গরুর মাংস কেজি প্রতি বিক্রি করছে ৪৫০ টাকায়, খাসি প্রতি কেজি ৬শ’ টাকা, মুরগী (দেশি) ২শ’ ৭০ টাকা, মুরগী (ব্রয়লার) ১শ’ ৭০ টাকা। তবে মুরগীর কেজি প্রতি ৫ টাকা দাম কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
রমজানে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের বাইরেও কাঁচা পণ্যের দাম বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ধনে পাতা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। তবে রমজান মাস শুরু হলে ধনে পাতা ৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে বলে বিক্রেতারা জানান।
একই সঙ্গে বেগুন কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ভেন্ডি ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা, শসা ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, পেপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচকলা (আলি প্রতি) ৪০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, মুলা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, লতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লেবু হালি ২০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০টাকা, কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, জিংগা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, দুন্দুল কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, আলু কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা, করলা কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা, টমেটু কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কইডা কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি কেজি প্রতি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাকড়ল কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
তবে এবারও বরাবরের মতোই দাম বাড়ানোর পেছনে পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ার অযুহাত দিচ্ছেন।
বাজারে ক্রেতারা জানান, প্রতিবছর দেখা রমজান আসলেই পণ্যের দাম অসহনীয় হয়ে পড়ে। প্রশাসন প্রথমে কিছু ভূমিকা রাখলে পরর্তীতে আর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার দেখা মিলে না। রমজান আসলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের পকেট ভারী করার জন্য দাম বাড়িয়ে থাকে।’
বিশেষ করে রমজান মাস দেখে মাছ বাাজারে ব্যবসায়ীরা ইলিশ, চিংড়ি, রুই, কাতল সহ বিভিন্ন মাছের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। রমজান শুরু হলে যেনো প্রতিদিন প্রশাসন বাজার মনিটরিং করে সে প্রত্যাশা সবার।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১২:৩০ পিএম, ২৯ মে ২০১৬, রোববার
ডিএইচ